মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাবে ২৫ এজেন্সি, ২৫০ এজেন্ট

Looks like you've blocked notifications!
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারভানান নিজ নিজ দেশের পক্ষে কুয়ালালামপুরে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশের নির্দিষ্ট ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি ও ২৫০ সাব-এজেন্ট মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি করতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান আপাতত কর্মী পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছে না।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘মালয়েশিয়াকিনি’ সূত্রে গতকাল সোমবার এমন তথ্য জানা গেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বাংলাদেশি ২৫ রিক্রুটিং এজেন্ট (বিআরএ) ও ২৫০ সাব-এজেন্টের নাম মালয়েশিয়ায় নতুন কর্মী নিয়োগের নিবন্ধন তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে। দুই দেশের সরকারের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির খসড়ায় এমন তথ্য রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমটি দাবি করেছে।

‘মালয়েশিয়াকিনি’ দাবি করেছে, ওইসব এজেন্সি ও সাব-এজেন্টের নামের তালিকা ও চুক্তির খসড়া তাদের হাতে রয়েছে। ওই খসড়ায় দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগ এবং প্রত্যাবাসনের প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির রূপরেখা, বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগকর্তাদের আবেদন থেকে শুরু করে মালয়েশিয়ায় আগমন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে।

মালয়েশিয়া গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশিদের জন্য তাদের শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ওই দিন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি এম সারাভানান এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী একই সঙ্গে জানিয়ে দেন, দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পর পরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃক্ষরোপণ, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, সেবা খাত, খনিজ উত্তোলন, নির্মাণ, গৃহকর্ম ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া হবে।

সারাভান আরও জানান, দেশটির সব খাতেই বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ সম্মত হয়েছে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো বৃক্ষরোপণ খাতে বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সবশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারভানান নিজ নিজ দেশের পক্ষে কুয়ালালামপুরে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।