মুসলিমসহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া হয়নি, ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে জাতিসংঘ
ভারতে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে মুসলিমসহ সংখ্যালঘুদের জন্য বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করে আইনটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর।
ভারতের নতুন ওই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স গতকাল শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ভারতের নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি মৌলিক চরিত্রগতভাবেই বৈষম্যমূলক। এ বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নতুন আইনে মুসলিমসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়দের সুরক্ষা দেওয়া হয়নি।’
জেরেমি লরেন্স আরো বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে নতুন এই আইনকে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পর্যালোচনা করবেন এবং আমাদের আশা মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনে ভারতের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে নতুন আইনটি সঙ্গতিপূর্ণ কি না, আদালত তা সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ ইউএন নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিক করতে গত ১০ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। এর পর ১২ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাতে স্বাক্ষর করে বিলটি আইনে পরিণত করেন।
এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চারটি রাজ্য আসাম, মেঘালয়, মণিপুর ও ত্রিপুরায় বসবাসকারী মুসলিমসহ আদিবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু, জৈন, পার্সি ও শিখদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হয়েছে। তবে এতে মিয়ানমারে নিপীড়ন থেকে পালানো রোহিঙ্গা মুসলিম উদ্বাস্তুদের জন্য কোনো সুবিধা রাখা হয়নি।