রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ছুটবে শব্দের গতির ২৭ গুণ দ্রুত
শুষ্ক বাতাসের মধ্য দিয়ে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শব্দের গতিবেগ ঘণ্টায় এক হাজার ২৩৫ কিলোমিটার। শব্দের এই গতির চেয়ে ২৭ গুণ দ্রুত উড়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম রাশিয়ার নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র। পারমাণবিক এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে মোতায়েন করার ঘোষণা দেয় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
‘আভানগার্দ’ নামের এই অত্যাধুনিক ‘হাইপারসনিক’ (শব্দের গতির চেয়ে দ্রুততর) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি কোথায় মোতায়েন করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উরাল পর্বতমালা অঞ্চলে এটি মোতায়েন করা হতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
আসন্ন নববর্ষ উপলক্ষে গত বুধবার মস্কোয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, শব্দের চেয়ে ২৭ গুণ গতিসম্পন্ন এই মিসাইল ব্যবস্থা রাশিয়াকে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে।
বিশেষ প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘আভানগার্দ’ মোকাবিলা করা দুরূহ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার পুতিন দাবি করেন, ‘আভানগার্দ’ বর্তমান ও ভবিষ্যতের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে সক্ষম।
পুতিন বলেন, ‘বিশ্বের কোনো দেশের কাছেই হাপারসনিক অস্ত্র নেই।’
পশ্চিমাসহ অন্য দেশগুলো ‘রাশিয়ার অস্ত্র সক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছার চেষ্টা করছে’ বলেও দাবি করেন পুতিন।
গত বছরের মার্চে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ‘আভানগার্দ’সহ বিভিন্ন অস্ত্রের উদ্বোধন করেছিলেন পুতিন। ওই সময় ‘আভানগার্দ’কে ‘জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড’ ও ‘অগ্নিগোলকের’ সঙ্গে তুলনা করেন পুতিন।
এর পর গত বছরের ডিসেম্বরে উরাল পর্বতমালার দক্ষিণ অংশে পরীক্ষামূলকভাবে ‘আভানগার্দ’ উৎক্ষেপণ করে রাশিয়া। সে পরীক্ষায় ছয় হাজার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে অস্ত্রটি।
ওই পরীক্ষার পর পুতিন বলেছিলেন, ‘বর্তমান ও সম্ভাব্য ভবিষ্যতের কোনো মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই আভানগার্দের মোকাবিলা করতে পারবে না।’