লকডাউন ভেঙে পদাবনতি নিউজিল্যান্ডের ‘নির্বোধ’ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে যখন দেশজুড়ে লকডাউন চলছে, তখন গাড়ি চালিয়ে সপরিবারে সৈকতে বেড়াতে গেলেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এমন প্রচণ্ড দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেওয়ায় নিজের দেশে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক। এ অপরাধে পদাবনতি হয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি সহযোগী অর্থমন্ত্রীর পদও হারাতে হয়েছে তাঁকে।
সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, কয়েক দিন আগেই আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ ভেঙে মাউন্টেন বাইকিংয়ে (পাহাড়ে মোটরসাইকের চালানো) গিয়েছিলেন ডেভিড ক্লার্ক। সে জন্য চরম সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এবার লকডাউন ভেঙে সপরিবারে গাড়ি চালিয়ে সমুদ্রতটে বেড়াতে যান ডেভিড ক্লার্ক।
এমন কাণ্ড ঘটানোয় ডেভিড ক্লার্ক নিজেকে ‘নির্বোধ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি স্বীকার করেন, ২০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে ‘লকডাউনের নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ করেছেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিউজিল্যান্ডের প্রধানন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডেনের কাছে পদত্যাগপত্র দিতে চেয়েছিলেন ডেভিড ক্লার্ক। এমন অপরাধের কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত বলে জানার জ্যাসিন্ডা আরডেন নিজেও। কিন্তু করোনাজনিত আপত্কালীন সংকটময় পরিস্থিতিতে তাঁকে পুরোপুরি বরখাস্ত না করে সহকারী অর্থমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ডেভিড ক্লার্ক ছাড়াও প্রায় একই ধরনের অপরাধে অভিযোগ উঠেছে দেশটির তারকা রাগবি খেলোয়াড় রিচি মুঙ্গার বিরুদ্ধে। লকডাউন ভেঙে ক্রাইস্টচার্চের একটি পার্কে কয়েকজন টিমমেটের সঙ্গে রাগবি অনুশীলনে মেতে ওঠেন তিনি। একজন তারকা খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের রাগবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক রবিনসন।
এর আগে একটি সুপারমার্কেটে ঘুরে ঘুরে ইচ্ছাকৃতভাবে হাঁচি ও কাশি দেওয়ায় নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৫ মার্চ থেকে নিউজিল্যান্ডে চার সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে।