শেষ দিনের প্রচারে মাঠে নেমেছেন প্রধান দুই প্রার্থী
কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট? আবারও চার বছরের জন্য বর্তমান প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, নাকি নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য সাজবে হোয়াইট হাউস। দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে কাল।
এদিকে সোমবার মধ্যরাতে নির্বাচনী প্রচার শেষ হচ্ছে। মঙ্গলবার সারা দিন হবে ভোটগ্রহণ। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঘাম ঝরাচ্ছেন দুই প্রার্থী। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ দিনের প্রচারে নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দেবেন। আর সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে সঙ্গে নিয়ে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন প্রথমে যাবেন ফ্লোরিডা তারপর নিজের জন্মস্থান পেনসিলভানিয়ায়।
ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর সিনিয়র উপদেষ্টা অনিতা ডান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাইডেন অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, ক্যারোলাইনা, মিশিগান, উইসকনসিন এবং টেক্সাসে বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। ফ্লোরিডায়ও জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত ফ্লোরিডা এবং পেনসিলভানিয়ায় জয় পেলে বাইডেনই যে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন এ বিষয়ে প্রায় সবাই একমত।
তবে অনেকেই মনে করেন, ট্রাম্প নিয়ন্ত্রিত টেক্সাসে (৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট) যদি বাইডেন জয়লাভ করেন তাহলে ফ্লোরিডায় (২৯টি ইলেকটোরাল ভোট) জয় না পেলেও চলবে। তবে পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা এবং মিশিগান বাইডেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই এ রাজ্যগুলোতে সাবেক সফল প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেই “ট্রাম্পকার্ড” হিসেবে ব্যবহার করছে বাইডেন শিবির। এ রাজ্যগুলোতে জয় পেয়েছিলেন ওবামা। ২০০৮ সালে ৩৬৫টি এবং ২০১২ সালে ৩৩২টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ওবামা। এ সময় ৯৩ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। আর তাই কৃষ্ণাঙ্গ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোট টার্গেট করে এগুচ্ছে বাইডেনের দল। বাইডেন নির্বাচিত হলে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং বন্ধু দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে কোনো জরিপকে পাত্তা না দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন তার ”নীরব ভোট ব্যাংক” ভোটের দিনই প্রমাণ করে দেবে, আরো চার বছর হোয়াইট হাউসে তাঁকেই দরকার।
আগামীকাল মঙ্গলবার ভোটের নির্ধারিত দিন। তবে প্রায় সাড়ে নয় কোটি ভোটার এরই মধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের ২৩২ বছরের ইতিহাসে আর কখনো ঘটেনি। স্বাধীনতার পর ১৭৮৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রথম ভোট হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেই সময় শতভাগ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। এত বেশি মানুষ এর আগে কখনো ভোট দেয়নি।