শ্রমবাজার সিন্ডিকেটের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রেসি এম সারাভানান। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (বিআরএ) নিয়োগে সিন্ডিকেট বা একচেটিয়া ক্ষমতা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী রেসি এম সারাভানান বলছেন, সম্প্রতি স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) রিক্রুটিং এজেন্সি ১০ থেকে ২৭৫-তে বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম মালয়েশিয়া কিনিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সারাভানান বলেন, ‘মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারকটি নতুন কিছু নয়। তবে, ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত পুরোনো এমওইউ-তে শুধু ১০ বিআরএ নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে মনোপলি বা একচেটিয়া বলে অভিযোগ উঠলে নিয়ে আমি ২৫টি প্রধান বিআরএ এবং ২৫০টি সাব-এজেন্ট যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।’

সারাভানান আরও বলেন, ‘যদি আমরা নিয়োগের ক্ষেত্রে একচেটিয়া অধিকার চাইতাম, তাহলে মূল এমওইউ-তে সম্মত হওয়ার কারণে  মাত্র ১০টি এজেন্সিই রাখতে পারতাম। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (বায়রা) এ সংখ্যা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে নিজেদের উদ্‌বেগের কথা জানিয়েছিল। এ ছাড়া বায়রা অনুরোধ করেছিল যেন মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য তাদের প্রায় এক হাজার ৬০০ সদস্যকে সমান সুযোগ দেওয়া হয়।

সারাভানান বলেন, ‘নিয়োগ করা সংস্থাগুলো সরাসরি মালয়েশিয়া নির্বাচন করেনি। এবং সংস্থাগুলোকে তাদের ট্র্যাক রেকর্ড এবং অন্যান্য কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। মজার বিষয় হলো—আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি, যেখানে আমাকে জানানো হয় যে, তাদের দেওয়া সংস্থাগুলোর মধ্য থেকে সংক্ষিপ্ত তালিকা করতে হবে।’

মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যয় বা অনিয়ম বাড়লে আমি সব এজেন্সিকে নজরদারিতে রাখতে পারব না। অন্তত এখন (২৭৫টি এজেন্সির সঙ্গে) কোনো সমস্যা আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করতে পারব।’

বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, “নির্বাচিত সংস্থাগুলো দিয়ে গঠিত ‘সিন্ডিকেট’ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই।”

আগের ব্যবস্থা অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দিতে একটি এজেন্টের পেছনে একজন বাংলাদেশি কর্মীকে ২০ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত খরচ করতে হতো।

তবে, সারাভানান স্বীকার করেছেন—অতীতে এমন সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব ছিল, যারা তাদের প্রাপ্য অর্থের চেয়ে বেশি পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি বাধ্যতামূলক শ্রম সমস্যার অন্যতম একটি কারণ। এ কারণে আমরা বিআরএ এজেন্সিগুলোর সংখ্যা সীমিত করার চেষ্টা করছি, যাতে করে আমাদের জন্য নজরদারি করা সহজ হয়।’