‘সব ঠিকঠাক আছে’, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বললেন ট্রাম্প
ইরাকে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘সব ঠিকঠাক আছে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিমানঘাঁটিতে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই আছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আগামীকাল সকালে আমি এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কথা বলব।’
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু করে প্রথমে পশ্চিম ইরাকের আল-আনবার প্রদেশের আল-আসাদ মার্কিন বিমানঘাঁটিতে এবং পরে মধ্য ইরাকের কুর্দি অধ্যুষিত এলাকা ইরবিলের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পেন্টাগন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে। এদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে সুনির্দিষ্টভাবে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা বলা হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়, বাগদাদে মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে আল-আসাদ নামে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরাকের ওই দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছিল। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হওয়ার কথা স্বীকার করলেও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিসাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরাকে আমাদের স্থাপনায় হামলার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে তা পর্যবেক্ষণ করছেন।’
মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রেসটিভি এক টুইট বার্তায় উল্লেখ করেছে, একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ১০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র ফের কোনো হামলা চালায়, তবে আরো কঠোর প্রত্যাঘাত করা হবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সেইসব মিত্রকে সতর্ক করছি, যারা এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে নিজেদের ঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। যেসব অঞ্চল বা এলাকা থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।’
গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলেইমানি নিহত হয়েছেন। সোলেইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান চরম প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান হামলা চালালে দেশটির ৫২টি স্থাপনায় খুব দ্রুত ও শক্তিশালী হামলা চালানো হবে।