হংকংয়ের ওপর নতুন আইন চাপানোয় ট্রাম্পের নিশানায় চীন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, হংকংয়ের ওপর চাপানো চীনের নতুন সুরক্ষা আইনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হংকংয়ের বাণিজ্য ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থা বন্ধ করবেন তিনি। ট্রাম্প জানান, তিনি হংকংকে চীন থেকে আর আলাদা মনে করবেন না।
হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকং চীনের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে। তবে অনেকে মনে করছেন, চীনের চাপিয়ে দেওয়া নতুন সুরক্ষা আইনের ফলে হংকং তার বিশেষ মর্যাদা হারাতে চলছে, যা ১৯৮৪ সালে চীন ও যুক্তরাজ্যের চুক্তির মাধ্যমে হয়েছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘চীন এক দেশ, দুই নীতি থেকে এক দেশ এক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে গেছে। এটি হংকংয়ের দুর্দশা যে, চীন তাদের স্বাধীনতা দমন করছে।’
ট্রাম্প আরো বলেন, চীন ও হংকংয়ের যেসব কর্মকর্তারা হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন দমনে জড়িত, তাদের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তবে কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে, তা নিয়ে কিছু বলেননি ট্রাম্প।
এদিকে হংকং প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলছে চীন।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য বলছে, চীন যদি আইনটি নিয়ে এগিয়ে যায়, তবে তারা হংকংয়ের ব্রিটিশ ন্যাশনাল (বিদেশী) পাসপোর্টধারীদের জন্য যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করতে পারে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, কোভিড-১৯ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন তিনি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি তিনি।
তবে এপ্রিলে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ডব্লিউএইচওর অর্থায়ন বন্ধ করে দেবেন, কারণ ডব্লিউএইচও করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া চীন থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর ডব্লিউএইচও বিষয়টি আড়াল করেছে বলে অভিযোগ ট্রাম্পের।