হাসপাতাল ছাড়লেন ইতালিতে প্রথম করোনায় আক্রান্ত চীনা দম্পতি
ইতালিতে চীনা দম্পতির আক্রান্তের মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসের প্রথম খবর পাওয়া যায়। এই দম্পতি গত ২৩ জানুয়ারি মিলানের মালপেন্সা বিমানবন্দর হয়ে ইতালি ঢোকেন। পরে ৬৬ ও ৬৭ বছর বয়সী চীনা স্বামী ও স্ত্রী রোমের একটি হোটেলে ৩০ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
চীনের উহান শহরের বাসিন্দা ওই বয়োজ্যেষ্ঠ জুটিকে স্প্যালানজানি থেকে স্থায়ীভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে একজনকে রোমের সান ফিলিপ্পো নেরি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে ওই নারী নিউরোমোটর পুনর্বাসন সম্পূর্ণ করবেন।
স্প্যালানজানির স্বাস্থ্য পরিচালক ফ্রান্সেসকো ভাইয়া বলেছেন, ‘এটা ইতিবাচক খবর, যা অবশ্যই সব ইতালীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে গর্বিত করে তুলবে।’
দেশটির নাগরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের দেওয়া সর্বশেষ ঘোষণামতে, ইতালিতে একদিনেই আরো ৬২৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় চীনকে পেছনে ফেলে ইতালি করোনাভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৩২। নতুন আক্রমণের শিকার হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৮৬ জন এবং এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২১ জন। এদিকে পাঁচ হাজার ১২৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কথার জানানোর পাশাপাশি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দুই হাজার ৬৫৫ জনের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকার খবরও রয়েছে।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় লোম্বার্দি অঞ্চলে এই প্রাদুর্ভাবের দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নানা কঠোর পদক্ষেপে চীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ পর্যন্ত যথেষ্ট সফলতা পেয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৮৫টি দেশে। লকডাউন করা হয়েছে নিউইয়র্ক শহরকে। মৃতের সংখ্যায় এরই মধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছে সর্বোচ্চ ৬২৭ জন। স্পেনে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা পৌনে তিন লাখের ওপরে। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৯১ হাজারের বেশি।