২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথে পুতিন!
সংবিধানে পরিবর্তন এনে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে পুতিন বলেছেন, রাশিয়া রাজনৈতিকভাবে ‘পরিণত’ হয়ে গেলে ক্ষমতায় থাকার সময়সীমা কমিয়ে আনার পক্ষপাতী তিনি।
২০২৪ সালে ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে রাশিয়ার রাজনীতি ও সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার কথা পুতিন জানিয়েছিলেন গত জানুয়ারিতে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল মঙ্গলবার এ খবর জানায়।
কিন্তু রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমায় দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টসহ যেকোনো ব্যক্তির (ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে) বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া উচিত... নীতিগতভাবে, এটা তুলে দেওয়াও সম্ভব, তবে এক শর্তে—সাংবিধানিক আদালত যদি এই সংশোধনকে সংবিধানের নীতিমালা ও মূল ধারাগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে না করেন।’
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার সময়সীমার বাধ্যবাধকতা ক্ষেত্রবিশেষে কেন প্রযোজ্য নয়, সে প্রসঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের উদাহরণ টানেন পুতিন। তিনি বলেন, দেশের টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে রুজভেল্ট চার দফা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ক্ষতি থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা এখনো করে যাচ্ছে রাশিয়া, এমন যুক্তি দেখিয়ে পুতিন আরো বলেন, ‘যখন কোনো দেশ এমন ধাক্কা ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়, তখন অবশ্যই স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাটা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে এবং সেটাকেই অগ্রাধিকার দিতে হয়।’
যদি রাশিয়ার সাংবিধানিক আদালত সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে মত দেন এবং আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য ভোটে জয় পেলে পুতিন আরো দুই দফায় ছয় বছর করে ক্ষমতায় থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন সমালোচকরা।