নকল অস্ত্র দেখিয়ে লিবিয়ার বিমান ছিনতাই

Looks like you've blocked notifications!
লিবিয়ার ছিনতাই করা বিমানের আরোহীদের ছেড়ে দিয়ে দুই ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে। ছবি : রয়টার্স

ছিনতাই হওয়া লিবিয়ার বিমানের সব যাত্রী মুক্তি পেয়েছে। শুক্রবার রাতে বিমানটি সব যাত্রী ও ক্রুদের মাল্টা বিমানবন্দরে ছেড়ে দেন দুই ছিনতাইকারী। এর পর তাঁরা মাল্টার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। নতুন তথ্য হলো, ছিনতাইকারী দুজনের যে অস্ত্র ছিল, তা নকল।

শুক্রবার লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী আফ্রিকিয়াহ এয়ারওয়েজের বিমানটি গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ছিনতাই করে দুই ব্যক্তি।

এর পর মাল্টা সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রথমে ভাবা হয়েছিল বিমান ছিনতাইকারীদের কাছে গ্রেনেড ও পিস্তল আছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, তারা দুটি নকল অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছিল।

মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাস্কাট বলেছেন, ছিনতাইকারীদের নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে লিবিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানটি লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সাবাহ থেকে দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির দিকে যাচ্ছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে দুই ব্যক্তি অস্ত্র দেখিয়ে বিমানটি ছিনতাই করে। এর পর বিমানটি বাধ্য হয়ে মাল্টায় নামে।

লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আফ্রিকিয়াহ এয়ারওয়েজের বিমানটিতে ক্রুসহ ১৮  আরোহী ছিল।

মাল্টার টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, বিমানের দরজা খুলে নারী ও শিশুদের প্রথমে ছেড়ে দেয় ছিনতাইকারীরা। পরে পুরুষদেরও মুক্ত করে দেয় তারা।

মাল্টার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইটিয়েন সেন্ট জন বলেছেন, তাঁর দেশের সশস্ত্র বাহিনী ছিনতাইকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করেছে।

সেবা থেকে ত্রিপোলি না নিয়ে ভূমধ্যসাগরের ছোট দ্বীপদেশ মাল্টায় বিমানটি অবতরণ করলে সেখানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ছিনতাইকারীদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

সেবা শহরে রাজনৈতিক সহিংসতা লেগেই থাকে। দেশটির প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুসারী ও তাঁর বিপক্ষ গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।

২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হন। বিদ্রোহীরা তাঁকে হত্যা করে। এর পর থেকে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদার উত্থান হয় দেশটিতে।