র্যাব ভেঙে দেওয়ার আহ্বান এইচআরডব্লিউর

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) দুর্বৃত্ত বাহিনী উল্লেখ করে তা ভেঙে দেওয়া উচিত বলে মনে করছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে নিউইয়র্কভিত্তিক ওই মানবাধিকার সংগঠনটি এ আহ্বান জানায়।
‘আফটার নারায়ণগঞ্জ ভারডিক্ট, বাংলাদেশ শুড ডিসব্যান্ড র্যাব’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে ২৬ জনের ফাঁসির রায় একটি বিরল ঘটনা। ওই ২৬ জনের মধ্যে রয়েছে র্যাবের ১৬ সদস্য।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ নিয়ে যৌথ বাহিনী হিসেবে র্যাব গঠিত হলেও একে নিয়ন্ত্রণ করে সেনাবাহিনী। জবাবদিহিতার অভাবে র্যাব একটি দুর্বৃত্ত বাহিনীতে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
এদিকে, আজ শুক্রবার দুপুরে রংপুরে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় বাহিনীটির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি।
বেনজীর বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক র্যাব সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে অন্যায় করেছে, তাদের দায় র্যাবের নয়। র্যাবই প্রথম এ ঘটনার তদন্ত করেছিল, তাদের গ্রেপ্তার করেছিল এবং বাহিনী থেকে বহিষ্কার করেছিল। এতে র্যাবের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি।’
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের পাশ থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর সহযোগী সিরাজুল ইসলাম লিটন, মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ করে র্যাব-১১।
পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পৃথক দুটি মামলা করেন।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের দুই মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ মোট ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও নয়জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন।