যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না সাত মুসলিম দেশের গ্রিনকার্ডধারীরাও
নিষিদ্ধঘোষিত সাত মুসলিম দেশের গ্রিনকার্ডধারীরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। গত শুক্রবার ট্রাম্পের ‘বিতর্কিত’ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের পর দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।
এর আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সাত ‘অপরাধপ্রবণ’ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধঘোষিত এসব দেশ হচ্ছে সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব দেশ সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসপ্রবণ।
এবার সেই দেশগুলোর গ্রিনকার্ডধারীদেরও যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র গিলিয়ান ক্রিস্টেনসেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাহী আদেশটির কারণে দেশগুলোর গ্রিনকার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা আসবে।’
দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, এই নির্বাহী আদেশের কারণে সাত দেশের গ্রিনকার্ডধারী নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে অবাধ প্রবেশ ও বহির্গমন বাধাগ্রস্ত হবে।
গ্রিনকার্ড হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক হিসেবে বসবাসের জন্য একটি স্থায়ী সনদ। যুক্তরাষ্ট্র সরকার গ্রিনকার্ড কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দিয়ে আসছিল।
এদিকে সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্বাহী আদেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মুসলমানরাই। প্রতিবেদনে বলা হয়, শরণার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে আদেশের পেছনে আসলে মুসলমানদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের আপাতত কোনো ভিসা দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।
গত শুক্রবার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসলামী জঙ্গিদের দূরে রাখার জন্য এটি একটি পদক্ষেপ। আমরা তাঁদের এখানে চাই না।’ এ সময় তিনি টুইন টাওয়ারে হামলার কথাও সবাইকে মনে করিয়ে দেন।
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘যারা আমাদের সেনাদের জন্য হুমকি, তাদের আমরা নিতে পারি না। আমরা তাদেরই নেব, যারা আমাদের দেশ ও দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসে।’
এদিকে, নিজ দেশের সামরিক বাহিনীর শক্তি আরো বাড়াতে চান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ ব্যাপারে একটি নির্বাহী আদেশেও সই করেছেন তিনি। আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে পুনর্গঠন করার কথা জানান তিনি। সামরিক বাহিনীর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নতুন পরিকল্পনা, নতুন সম্পদ, নতুন যন্ত্রপাতি।’