চীন মনে করে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি যথেষ্ট শক্তিশালী। ভারত যদি পাকিস্তানে হামলা করে পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান ছেড়ে দিবে না। বরং ভারতকে মোকাবিলা করে নিজের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষমতা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর আছে। 

ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস চীনের এক আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। 

সম্প্রতি ভারতের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ঝাও গানচেং নামে ওই চীনা বিশ্লেষক এসব কথা বলেন। বিপিন রাওয়াত সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘শান্তির’ পথে না এলে ‘সার্জিক্যাল হামলা’ আবারও হতে পারে। 

ঝাও গানচেং জানান,বিষয়গুলো চীনের নজর এড়ায়নি। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, চীনের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সঙ্গে এসব কথা বলেন ঝাও। 

চীনের সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সেন্টার ফর এশিয়া-প্যাসিফিক স্টাডিজের পরিচালক পদে কাজ করেন ঝাও গানচেং। তিনি জানান, কাশ্মীর ও দিল্লিতে হামলার সন্ত্রাসী ব্যাপারে ভারত ইসলামাবাদকেই দায়ী করে। এ কারণে পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। 

ঝাও জানান, তবে ভারতকে মনে রাখতে হবে তাকে প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ট শক্তি আছে পাকিস্তানের। তিনি বলেন, ‘উভয় দেশই পরমাণু শক্তিধর।’ তিনি বলেন, ‘তবে ভারত খুব সহজে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে জয়ী হবে তা কিন্তু নয়। সত্যটা হচ্ছে, নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যথেষ্ট শক্তি পাকিস্তানের আছে। এর পরমাণু অস্ত্রকেও উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।’

ঝাও জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দক্ষিন এশিয়ার ব্যাপারে মার্কিন নীতি কী হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের নীতি ওবামার নীতির চেয়ে ভিন্ন কিছু হতে পারে।’ 

ঝাও বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে ট্রাম্পের নীতি বারাক ওবামার মতো নাও হতে পারে। মেয়াদের শেষ দিকে ওবামার নীতি ছিল ভারতমুখী। অন্যদিকে ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছেন। যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। তিনি দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে আরো ভারসাম্যপূর্ণ নীতি নিতে পারেন।’