ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দাবি করেছে, বাংলাদেশ তার ভূমি থেকে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তাড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে সময়ে সময়ে বিএসএফকে অবহিতও করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
urgentPhoto
বিএসএফের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া শুক্রবার এই খবর দিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তাড়া খেয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পলাতক বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর অস্থায়ী ক্যাম্প করেছিল। পরে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে বিজিবি।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে বিএসএফকে বিজিবির সাম্প্রতিক কর্মতৎপরতার বিষয়ে অবহিত করা হয় বলে জানান ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওই কর্মকর্তা। বৈঠকে বিজিবির প্রতিনিধিদলের নেত্বত্বে ছিলেন উপমহাপরিচালক (উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের কমান্ডার) আর বিএসএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মেঘালয় ফ্রন্টের মহাপরিদর্শক সুদেশ কুমার।
গত ৪ জুন, ২০১৫ তারিখে মণিপুর রাজ্যের চান্দেল জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এক হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। হামলায় গুরুতর আহত হন আরো ১২ জন। সেনারা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সেনাঘাঁটি মৌতুল থেকে রাজধানী ইম্ফলে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। পুলিশ বলছে, রকেট লঞ্চার, গ্রেনেডসহ ভয়ঙ্কর অস্ত্রে সজ্জিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অতর্কিতে ওই হামলা চালায়।
এর আগের দিন মণিপুর-মিয়ানমার সীমান্তে উখরুল জেলায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই হামলায় প্রাণ হারান তিন ভারতীয় সেনা। গুরুতর আহত হন দুজন।
৫ জুন ভারতীয় সেনাবাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে। এরপর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের ভেতরেও অভিযান চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। গত ৯ জুন মণিপুর রাজ্যের সীমান্তবর্তী মিয়ানমার ভূখণ্ডে চালানো এই অভিযানে ৫০ বিদ্রোহীকে হত্যা করেন সেনারা।
মিয়ানমার ও মণিপুরের মাঝে প্রায় ৩৯৮ কিলোমিটার অসংরক্ষিত সীমানা রয়েছে। এই অসংরক্ষিত এলাকা কমপক্ষে ৪০টি জঙ্গি ঘাঁটির ঠিকানা। যার মধ্যে ২০টি গোষ্ঠী ভারতের মণিপুর রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বাকিরা ওই এলাকায় নিজেদের একটি আলাদা দেশসহ বিভিন্ন দাবিতে সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।