দারিদ্র্যে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশিরা : জাতিসংঘ
মিয়ানমারের মানুষ জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ছে। আর দরিদ্রতার কারণে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে পাচারকারীদের হাতে পড়ছে বাংলাদেশিরা।
সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় ‘অভিবাসীদের মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রাআ’দ আল হুসেন এ কথা বলেন।
রাআ’দ বলেন, অনেক বছর ধরেই মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ছেড়ে আসা মানুষরা পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ছে। ভূমধ্যসাগর ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সাগরে সৃষ্ট সংকটের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যা এড়ানো অসম্ভব।
সংবাদ সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে থাইল্যান্ডে মানবপাচারকারীদের ওপর অভিযান চালানোর পর থেকে মানুষের দেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ওই সময় অভিবাসী বোঝাই নৌকা মাঝসাগরে ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। নিকটবর্তী দেশের সমুদ্রের তীর থেকে অভিবাসীবাহী নৌকা তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় সমুদ্রেই মারা যায় কয়েকশ অভিযাত্রী।
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় কয়েকটি গণকবর পাওয়া যায়। পাচারকারী ও জিম্মিকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এসব স্থানে কবর দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, কবরে পাওয়া লাশগুলো বেশির ভাগ মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমানদের।
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার জেইদ রাআ’দ আল হুসেন বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত দেশটির সংখ্যালঘু ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান। বাসস্থান, কৃষি জমির অধিকার, চাকরিসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। হুসেন বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হত্যা, গুম, গণগ্রেপ্তার, নির্যাতন ও যৌন নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানরা।
হাইকমিশনার জেইদ রাআ’দ আল হুসেন আশঙ্কা করেন নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের তালেবানদের দেওয়া সাম্প্রতিক বিবৃতির মাধ্যমে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।