লন্ডনে হামলাকারী ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত খালিদ মাসুদ

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট ভবনে হামলাকারী খালিদ মাসুদকে গুলি করে পুলিশ। ছবি : এপি

যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট ভবনে হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে দেশটির পুলিশ। হামলাকারীর নাম খালিদ মাসুদ (৫২)। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব ব্রিটেনের কেন্ট অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। পুলিশের গুলিতে হামলার দিনই নিহত হন খালিদ।

এদিকে, স্থানীয় সময় বুধবারের হামলায় আহত আরো একজন বৃদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজন।

সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে আটক করে পুলিশ। রাতভর গোয়েন্দা অভিযানে এসব ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

পার্লামেন্টে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ওই সংগঠনের মুখপাত্র আমাক-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় আইএস। আমাকের মাধ্যমে জানানো হয়, ‘ইসলামিক স্টেটের এক সৈনিক’ ওই হামলা করেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়া ও ইরাকে হামলাকারী যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের দেশগুলোর সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয় আইএস সদস্যদের।

গত বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় হামলাকারীসহ পাঁচজন নিহত হন। এতে আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন। নিহতদের মধ্যে পিসি কিথ পালমার (৪৮) নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বুধবার দুপুরে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেতু দিয়ে একটি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করে হামলাকারী। এর পর ওয়েস্টমিনস্টার এলাকায় অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনের দিকে এগিয়ে যায়। পথে সেতুর ওপর থাকা লোকজনকে চাপা দেয় হামলাকারী। এতে নিহত হন দুজন। তাঁদের মধ্যে এক নারী রয়েছেন। এ ছাড়া তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অনেকেই।

সেতু পার হয়ে হামলাকারী গাড়ি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের বিগ বেন ঘড়িসংলগ্ন দেয়ালে ধাক্কা দেয়। এর পর গাড়ি থেকে নেমে পার্লামেন্ট ভবন প্রাঙ্গণে অনুপ্রবেশ করে হামলাকারী। এ সময় তার কাছে একটি ছুরি ছিল।

পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে অনুপ্রবেশের পর কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা পিসি পালমার হামলাকারীকে বাধা দেন। কিন্তু পালমারের কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। হামলাকারী ছুরি দিয়ে তাঁকে বেশ কয়েকবার আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পরে সেখানে থাকা অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী।