প্রতিরক্ষাসহ ৪ সমঝোতা, ২২ চুক্তি স্বাক্ষর
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/04/08/photo-1491648401.jpg)
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে মোট ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার জন্য চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
এর আগে আজ শনিবার দুপুরে হায়দরাবাদ হাউজে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই নেতা নিজেদের মধ্যে একান্ত বৈঠকের পর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট নেতা ও কর্মকর্তাদের নিয়ে শীর্ষ বৈঠক করেন।
এ বৈঠক শেষেই দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, ঋণ, তথ্য-প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ২২টি চুক্তি ও চারটি সমেঝাতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর আগে সকালে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর তিনি দিল্লির রায়ঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
গত সাত বছরের মধ্যে এটাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভারত ভ্রমণ। এর আগে ২০১০ সালে দেশটিতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে নয়াদিল্লিতে বিমানবাহিনীর পালাম স্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারি শিল্প, পাবলিক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
দুই দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন এ সফর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত এবং দুই দেশের নেতৃত্বের মধ্যে আস্থা ও বন্ধন শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মাধ্যমে ঢাকা ও নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উপনীত হবে বলে উভয় দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে।
আগামীকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী আজমির শরিফ যাবেন। সেখানে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.)-এর দরগাহ শরিফ জিয়ারত করবেন। একই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করবেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
১০ এপ্রিল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। বিকেলে তিনি ঢাকার উদ্দেশে দিল্লি ত্যাগ করবেন।