যুদ্ধ উন্মাদনার মধ্যে কোরিয়ায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

Looks like you've blocked notifications!
কোরীয় উপদ্বীপে পৌঁছেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ছবি : বিবিসি

যুদ্ধ যুদ্ধ উন্মাদনার মধ্যে কোরীয় উপদ্বীপে পৌঁছেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। স্থানীয় সময় রোববার রাতে পেন্স দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী অসামরিক এলাকার প্রবেশপথে পৌঁছেন।

এবারের ১০ দিনের এশিয়া সফরে পেন্স দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ছাড়াও আরো চারটি দেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ার কথা রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সামরিক বন্ধুত্ব রয়েছে।’

এর আগে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া আরো একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার চেষ্টা চালায়। তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কিছুক্ষণের মধ্যে সাগরে বিস্ফোরিত হয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মাইক পেন্স এ ঘটনাকে উত্তর কোরিয়ার ‘উসকানি’ বলে অভিহিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডও এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। মাত্র একদিন আগেই উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছে যে তারা পরমাণু হামলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বিবিসি জানায়, উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সিনপোর কাছে ওই পরীক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং উৎক্ষেপণের পরপরই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়ে যায়।

দেশটি এরই মধ্যে পাঁচটি পরমাণু পরীক্ষা ও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শক্ত অবস্থান নিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি মোকাবিলায় তাঁর দেশ একাই ব্যবস্থা নিতে সক্ষম।

ওদিকে চীন কোরীয় উপত্যকায় যেকোনো সময় যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়াকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জং-আন আমেরিকাকে উসকানিমূলক পদক্ষেপ না নিতে সতর্ক করে দেন।

পিয়ংইয়ংয়ে কুচকাওয়াজে ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের বড় ধরনের প্রদর্শনী করা হয় নিজেদের বর্তমান সামরিক শক্তি তুলে ধরার জন্য।

ওই সামরিক প্রদর্শনীতে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করার উদ্দেশ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার সম্ভব।