উত্তর কোরিয়ার দিকে আদৌ যায়নি যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী!

Looks like you've blocked notifications!
বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বে একটি নৌবহর। ছবি : রয়টার্স

কোরীয় উপদ্বীপের দেশ উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী চলছে টানাপড়েন। এরই মধ্যে আবার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক তৈরি করেছিল দেশটি। এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ।

অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার এই উত্থানকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়। আর এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির দিকে তাদের রণতরীর বহর রওনা দিয়েছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

তবে এক খবরে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই রণতরী নাকি আদৌ উত্তর কোরিয়ার দিকে যায়নি; বরং গেছে উল্টো পথে।

গত ৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসনসহ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ কোরিয়া উপদ্বীপের দিকে রওনা দিয়েছে। তবে সেটি আসলে ইন্দোনেশিয়ার সুন্দ্রা প্রণালি দিয়ে ভারত মহাসাগরে যাচ্ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই নৌবহর প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি প্রশিক্ষণ শেষ করবে। সে জন্য পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই বহরকে।  

উত্তর কোরিয়ার একের পর এর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাব দিতেই কোরীয় উপদ্বীপের দিকে ওই নৌবহর যাচ্ছে বলে জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এর পর থেকেই ওই অঞ্চলে যুদ্ধের শঙ্কা সৃষ্টি হয়।

এদিকে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হ্যান সং-রেয়ল বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে জানান, প্রতি সপ্তাহ, মাস ও বছরান্তে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাবে দেশটি।

বিবিসিকে হ্যান আরো বলেন, ‘যদি তারা আমাদের ওপরে হামলা চালায়, তাহলে আমরা আমাদের নিজস্ব উপায়ে তাদের ওপরে পরমাণু হামলা চালাব।’

বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক ক্রমে উত্তপ্ত হচ্ছে। এর জন্য কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেই দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে ২০০৬ সাল থেকেই উত্তর কোরিয়ার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ।