সৌদি আরবে মডেলদের সংগ্রাম

Looks like you've blocked notifications!
আবায়া পরিহিত এক সৌদি নারী মডেল। ছবি : এএফপি

বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলেই নারী মডেলদের সৌন্দর্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে সৌদি আরবে ব্যতিক্রম। চলতি মাসে এক নির্দেশে দেশটির সরকার ফ্যাশন শোকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সেখানকার মডেলরা। 

সরকারের নির্দেশের প্রতিবাদে সৌদি আরবের মডেলরা তুলে ধরেছেন তাঁদের সংগ্রামের কথা। এক নারী মডেলের ভাষ্য, মডেলিংয়ের কারণে তাঁর বাগদত্তা তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন। আরেক মডেল জানান, তাঁর বন্ধুরা ছেড়ে গেছে। 
এ নিয়ে প্রভাবশালী সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সৌদি আরবে বিয়েসহ সব ধরনের জনসমাবেশেই আল সৌদ পরিবারের অনুমতি লাগে। তাই ২০০৯ সালে ক্যাটওয়াকের অনুমতি দেওয়া হলেও এটি যে বন্ধ হয়ে যাবে এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। 

বিষয়টি ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদিত ধার্মিক নারীদের জোটের কাছে চক্ষুশূল। 

ওহাবি ইমামরা প্রায়ই পশ্চিমা লিঙ্গসমতাকে কটাক্ষ করেন। সৌদি আরবের নারীদের অবশ্যই আবায়া (লম্বা কালো পোশাক) পরতে হবে।

অনেক সময়ই দেখা যায়, বিলবোর্ডের নারীদের মুখাবয়ব ঘষে তুলে ফেলা হয়েছে। বই বা ম্যাগাজিনেও নারীর ছবিতে কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এর আগে ২০১২ সালে সুইডেনের ফার্নিচার বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান আইকেইএ সৌদি আরবে তাদের ক্যাটালগ থেকে নারীর ছবি বাদ দেয়। 

সৌদি আরবে ক্যাটওয়াক হোক আর না হোক, পণ্যের প্রচারণা ঠিকই চালানো হবে। গ্লোবাল রিটেইল ডেভেলপন্টে ইনডেস্কে সৌদি আরবের অবস্থান এই বছর ১৭তম। দেখানোর সুযোগ থাকায় সৌদি আরবের নারীদের মধ্যে জুতা, সানগ্লাস ও হ্যান্ডব্যাগ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। নারী মডেলদের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাটওয়াকের নিষেধাজ্ঞায় বাদ পড়েছেন পুরুষ মডেলরাও।