দাবদাহে মৃত্যুর জন্য বিদ্যুৎ কোম্পানিকে দুষল তালেবান

পাকিস্তানে গত কয়েকদিনে তীব্র দাবদাহে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং রোজা পালনের সময় তীব্র গরমে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এবং পানিশূন্যতায় দরিদ্র, বৃদ্ধ, শিশু ও গৃহহীন মানুষের মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। আর এসব মৃত্যুর ঘটনার দায় একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির ওপর চাপিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান, পাকিস্তান (টিটিপি)।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, কে-ইলেকট্রিক নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি করাচিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। পাকিস্তানের বর্তমান দুর্যোগের জন্য এ কোম্পানিটিকেই দায়ী বলে এক বিবৃতিতে ঘোষণা করে তালেবান। প্রতিষ্ঠানটির অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং অতিরিক্ত মুনাফা লাভের চেষ্টাই এত মানুষ নিহত হওয়ার কারণ বলে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। এভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলতে থাকলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে টিটিপি।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং সিন্ধুর প্রাদেশিক সরকারও কে-ইলেকট্রিককে দুষছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ভুল-ত্রুটির দিকে নজর না দেওয়ার কারণে একে অপরকেও দুষছে তারা।
এসবের মধ্যে পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে এই তাপদাহের আরো অবনতি ঘটছে।
পাকিস্তানে রমজান মাসে এই তাপদাহ দুঃসহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময়টাতে সারাদিন পানি বা খাবার গ্রহণ না করা মুসলমানরা দুঃসহ জীবনযাপন করছে।
আরব সাগরের উপকূলে অবস্থিত করাচি শহরে প্রায় দুই কোটি মানুষ বাস করে। আরব সাগর থেকে আসা বাতাসের কারণে শহরটি এখন গরম চুলার মতো উত্তপ্ত হয়ে আছে। গত ২০ জুন এই শহরের তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ ধরনের তাপমাত্রায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। শহরটির হাসপাতালগুলোর মর্গগুলোতে স্থান সংকট দেখা দিয়েছে আর খুঁড়তে হচ্ছে গণকবর।