স্ত্রীকে নিয়ে ‘এত কথা’য় ক্ষুব্ধ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
ফ্রান্সের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁর চেয়ে স্ত্রী ব্রিজিত ২৪ বছরের বড়। বয়সের এই ব্যবধান নিয়ে ফ্রান্স ও ফ্রান্সের বাইরে বিভিন্ন পরিসরে নানা আলোচনা, সমালোচনা চলছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ম্যাকরোঁ।
স্থানীয় সংবাদপত্র লা প্যারিসিয়ার কাছে এই ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন ম্যাকরোঁ।
স্থানীয় সময় রোববার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হয় ইমানুয়েল ম্যাঁকরোর। ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদে উদ্বোধনী ভাষণে তিনি ফ্রান্সের সমাজ থেকে বিভাজন দূর করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এর আগে স্ত্রীর বয়স নিয়ে নানা সমালোচনা নিয়ে লা প্যারিসিয়াকে ম্যাঁকরো বলেন, ‘আমার বয়স স্ত্রীর চেয়ে ২০ বছর বেশি হলে, কেউ এক সেকেন্ডও ভাবত না যে, আমার সঙ্গে তাঁকে বেখাপ্পা দেখাচ্ছে।’
এদিকে ম্যাকরোঁর এই বিয়েকে ‘সামাজিক বিপ্লব’ হিসেবে অভিহিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক মেরি জর্ডান্। তাঁর মতে, বিশ্বে অসম বয়সী নারীদের বিয়ে করা রাজনীতিকদের জন্য ম্যাকরোঁর বিয়ে একটি প্রতিশোধ।
জর্ডানের মতে, ম্যাকরোঁর এই অসম প্রেমের গল্প ফ্রান্সের রাজনীতিতে এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
ম্যাকরোঁই ফ্রান্সের ফিফথ রিপাবলিকের (পঞ্চম প্রজাতন্ত্র) ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি তাঁর স্ত্রীর চেয়ে বয়সে ছোট। তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের অন্য নেতাদের চেয়ে ম্যাকরোঁ দম্পতির বয়সের পার্থক্য অনেক বেশি।