যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের ওপর আস্থা রাখা যায় না : জার্মানি

Looks like you've blocked notifications!

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রেক্সিটের পর বিভক্ত ব্রিটেন এখন আর ইউরোপের নির্ভরশীলতার অংশীদার নয়। তাদের ওপর আর আস্থা রাখা যায় না।

আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে মিউনিখে এক নির্বাচনী প্রচারে এসব কথা বলেন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের প্রার্থী মেরকেল।

সম্প্রতি ইতালির সিসিলির তাওরমিনাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনের মূল আলোচ্যসূচি ছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর নেতারা চেষ্টা করেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার কোনো অঙ্গীকার আদায় করতে পারেননি।

শনিবার সম্মেলনের শেষ দিনে এক টুইটার বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আলোচিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানাবে, নাকি প্রত্যাখ্যান করবে—সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী সপ্তাহে। ওয়াশিংটনে ফিরে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে আগামী সপ্তাহে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করবেন তিনি। তখনই এ চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্পের এমন আচরণের পর দেশে ফিরেই মেরকেল এ ধরনের মন্তব্য করলেন।

অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, দুটো দেশের সঙ্গেই তিনি ভালো সম্পর্ক চান। তবে ইউরোপের ভবিষ্যতের জন্য নিজেদেরই লড়াই করতে হবে। তিনি বলেন, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখলেও তাদের ওপর আর আস্থা করা যায় না।

সিসিলিতে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন সম্মেলনকে তিনি 'খুব কঠিন' এবং 'খুবই অসন্তোষজনক' বর্ণনা করেন।

জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘যখন আমরা অন্যদের ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখতে পারতাম, সে সময় পেরিয়ে গেছে। গত কয়েক দিনে আমি তা বুঝতে পেরেছি। সে জন্যই আমি বলছি, ইউরোপিয়ানদের ভবিষ্যৎ নিজেদের হাতেই তুলে নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, এমনকি রাশিয়ার সঙ্গেও আমরা বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু ভবিষ্যতের লড়াই আমাদেরই করতে হবে। আপনাদের সঙ্গে আমি সেটাই করতে চাই।’

বিবিসির ইউরোপ সম্পাদক কাটিয়া অ্যাডলার বলেন, মূলত জার্মান ভোটারদের প্রতি আকর্ষণ করতেই মেরকেল এসব কথা বলছেন।

আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের জনমত জরিপে মেরকেল এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচিত হলে তিনি চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করবেন।