সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ কাতারে
সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে কাতার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরূপ মন্তব্য করার রেশ না কাটতেই যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ দোহায় পৌঁছেছে।
স্থানীয় সময় বুধবার দুটি যুদ্ধজাহাজ কাতারের জলসীমায় যায়।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটিটি রয়েছে কাতারে। আল –উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ১১ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখান থেকে শতাধিক বিমান বিভিন্ন কার্যক্রম চালায়।
কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কাতার নিউজ এজেন্সির (কিউএনএ) খবরে বলা হয়, বুধবার একদিকে যুদ্ধজাহাজ দুটি যখন কাতারে পৌঁছেছে, সেই দিনেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক হাজার ২০০ কোটি ডলার দিয়ে কিছু এফ-১৫ জঙ্গিবিমান কেনার চুক্তি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশটি।
কিউএনএর খবর অনুযায়ী, কাতারের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী খালিদ আল আত্তিয়াহ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসের বৈঠকে অস্ত্র কেনার বিষয়টি সম্পন্ন হয়।
কাতারের সঙ্গে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) তিনটি দেশ ও মিত্রদের বিরোধের মধ্যেই দোহায় যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়টি পূর্বপরিকল্পনার অংশ নাকি সমর্থন জানানোর অংশ—তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা ও ইরানকে সমর্থন করার অভিযোগে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও মিত্র কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। যদিও সৌদির নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে কাতার।

আলজাজিরা