অভিবাসীদের ‘স্বর্গরাজ্য’ সুইডেন, কেন জানেন?

Looks like you've blocked notifications!

অভিবাসীবান্ধব দেশ বললেই চোখের সামনে এত দিন ভেসে উঠত কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজার‍ল্যান্ডের মতো কিছু দেশের আলো ঝলমলে ভবন কিংবা মনোরম কোনো অবকাশযাপন কেন্দ্রের ছবি। এবার সেই জায়গাটা দখলে নিতে পারে সুইডেনের কোনো শহর, স্থাপনা কিংবা নৈসর্গিক দৃশ্য। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমবিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপ সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট নামে প্রতিষ্ঠানের জরিপে অভিবাসীবান্ধব দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে অবস্থানে আছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটি। 

ইউএস নিউজের জরিপে সুইডেনের পরের অবস্থানেই আছে যথাক্রমে কানাডা, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি। আর ‘মেলটিং পট’ হিসেবে পরিচিত অভিবাসীদের নিয়ে গড়ে ওঠা রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র আছে তালিকার সপ্তম স্থানে।

জরিপের অংশ হিসেবে নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দুই হাজার ১০০ জনের মতামত নিয়েছে ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট। ২০১৬ সালজুড়ে এই জরিপ করা হয়।

জরিপে দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, আয়ের সমতা ও চাকরির বাজারের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশগুলোর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিশ্ববিদ্যালয়), হাসপাতাল ও গাড়িগুলোকেও জরিপে আমলে নেওয়া হয়েছে।

ইউএস নিউজের সেই জরিপ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের ভাষ্য, এ জরিপে তাঁরা বিশ্বব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের তথ্য ও নিজ দেশে তাঁদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা (রেমিট্যান্স) পরিমাণও জরিপে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।  

এ বিষয়ে ইউএস নিউজ ও নিউ নিউইয়র্ক ডেইলির কো-চেয়ারম্যান এরিক গার্টলার বলেন, বিশ্বের ‘সবচেয়ে ভালো’ দেশের র‍্যাংকিং করতে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক মানুষ অভিবাসন প্রক্রিয়াকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে দেখেন।

কয়েক বছর ধরেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে সুইডেন।  ২০১৫ সালে দেশটি ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশিসংখ্যক অভিবাসীকে জায়গা দিয়েছে।

ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের তালিকায় বিশ্বের ৮০টি দেশকে রাখা হয়েছে। তালিকায় থাকা প্রথম ১০টি দেশ হলো সুইডেন, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক।