নগ্নদের শহরে
জন্মের সময় তো মানুষ নগ্নই থাকে, তাহলে কিসের এত রাখ-ঢাক? নগ্নতা নিয়ে তাই এখানে নেই নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-শিশু, সাদা-কালোর বাছ-বিচার। ভাবছেন আজব এই নিয়ম কোথায়? আসলে পারিপার্শ্বিকতার বিচারে আমাদের কাছে নিয়মটি বিদঘুটে লাগলেও ফ্রান্সের অ্যাজডে শহরের ক্যাপ ডি অ্যাজডে রিসোর্টের বিষয়টি একেবারেই স্বাভাবিক।
অ্যাডজে শহরটির অবস্থান ফ্রান্সের দক্ষিণে। ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সেটিকে শহর বলে চেনাই যেত না। ৬০-এর দশকে সেখানের সাগরপাড়ে গড়ে তোলা হয় ছয়টি রিসোর্ট। ওই রিসোর্টে পর্যটকরা নৌকা ভ্রমণ করতে যেতেন। তবে তাঁদের জন্য করা হয়েছিল একটি নিয়ম। সেখানে যাঁরা ভ্রমণ যাবেন, তাঁদের একেবারে নগ্ন থাকতে হবে। পরে সেটিই পরিণত হয় প্রথায়।
অ্যাডজে শহরটির মানুষরা বলতে গেলে সব সময় একপ্রকার নগ্নই থাকেন। আর গ্রীষ্মকালে তো পোয়াবারো। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মিলে সেখানে নগ্ন মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ হাজারের বেশি। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আলাদা এক লক্ষ্য নিয়ে জড়ো হন আরো কিছু পর্যটক। যৌনতার গণতন্ত্র খুঁজতেই সেখানে হাজির হন তাঁরা।
কী ভাবছেন। শহরটিতে নগ্নতা ও যৌনতা ছাড়া আর কিছুই নেই। তাহলে আপনার ধারণাই ভুল। কারণ আর দশটি সাধারণ শহরের মতো ব্যাংক, হোটেল, খাবারের দোকান, পোশাকের দোকান, মুদি দোকানসহ মাছের দোকানও আছে। আর ’৯০-এর দশক থেকে অ্যাজডে শহর পরিণত হয় বিখ্যাত মাংসের বাজারে।
বর্তমানে অ্যাজডে একমাত্র শহর, যেখানে নগ্নতা একেবারেই স্বাধীন। এমনকি পোশাক পরলে আপনাকে কটাক্ষ করা হতে পারে। তবে ২০১২ সালে জার্মানির মিউনিখে কয়েকটি রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়, যেখানে নগ্নতা ছাড়া প্রবেশ নিষেধ।