ভারতে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বিচার শুরু হবে ৩০ জুলাই। আজ বুধবার মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং আদালতের বিচারিক হাকিম কে এম এল নোংব্রি এ সংক্রান্ত আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৫ জুলাই শিলং আদালত জানিয়েছিল, ২২ জুলাই সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় অভিযোগ গঠিত হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদ আইনজীবীসহ শিলংয়ের আদালতে যান। সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী এস পি মহান্ত।
স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শিলং আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এল এন নোংব্রির এজলাসে সালাহ উদ্দিনের ভারতে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত মামলা ওঠে। পরে অভিযোপত্র গ্রহণ করা হয়।
সালাহ উদ্দিন আহমেদের আইনজীবী এস পি মহান্ত বলেন, আগামী ৩০ জুলাই থেকেই এই মামলার বিচার শুরু হবে।
বুধবার সকালে আদালতে ঢোকার আগে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় ভারতে আসিনি। আমাকে চোখ, হাত, পা বেঁধে শিলংয়ে ফেলে দিয়ে গিয়েছে কেউ বা কারা। আমি তাদের চিনি না।’ তবে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশ মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
চলতি বছরের গত ১২ মে শিলংয়ের গলফ ক্লাব এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তবে তাঁর দাবি, তিনি স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে গিয়ে ধরা দেন। তারপর তাঁকে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ মে সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী তাঁর স্বামীর উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিলং সেশন কোর্টে আবেদন জানান। যদিও সেই আবেদন ২৯ মে খারিজ করে দিয়ে আদালত সালাহ উদ্দিন আহমেদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শিলং থানার সাব ইন্সপেক্টর তথা এই মামলার তদন্তকারী অফিসার এম লামহারে সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে। চার্জশিট দাখিলের দুই দিনের মাথায় গত ৫ জুলাই শর্তসাপেক্ষে শিলং আদালত থেকে জামিন পান সালাহ উদ্দিন আহমেদ। জামিনের সেই শর্তে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে শিলং থানায় হাজিরা এবং শিলং শহর ছেড়ে কোথাও না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পর থেকেই শিলংয়ে ঘর ভাড়া নিয়ে রয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।