ইরাক ও সিরিয়ায় সেনা বাড়াচ্ছে তুরস্ক

Looks like you've blocked notifications!
ইরাক ও সিরিয়ায় সেনা বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন তুরস্কের আইনপ্রণেতারা। ছবি : এএফপি

জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে ইরাক ও সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন বাড়ানোর বৈধতা দিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তুরস্কের পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা। 

ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানের স্বাধীনতা নিয়ে পার্লামেন্টে অনুষ্ঠেয় গণভোটের দুদিন আগে শনিবার এই সিদ্ধান্ত নিল তুরস্ক।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, কুর্দি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির স্বাধীনতার পক্ষের ভোটের নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটি এই ভোটকে নিজেদের স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরাক, ইরান, সিরিয়া, তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিন কোটি বা তার বেশি কুর্দি রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে স্বতন্ত্র  কুর্দিরা অনেকটা ইরানি সংস্কৃতির পরম্পরা বহন করে।

মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ ও তুরস্কে বিভক্ত  কুর্দিরা দীর্ঘদিন ধরে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে আসছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিপুল তুর্কির বাস। দেশটিতে সক্রিয় কুর্দিদের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন হলো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি তথা পিকেকে, যেটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেয় তুরস্ক। ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্ক সরকারের সঙ্গে বহুবার সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার তুরস্কের পার্লামেন্টে সেনা মোতায়েন বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি), প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপল’স পার্টি (সিএইচপি) ও ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টির আইনপ্রণেতারা। তবে পিপল’স ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) বিপক্ষে ভোট দেয়।

এর আগে তুরস্কের পার্লামেন্ট ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আন্তদেশীয় অভিযান চালানোর পক্ষে ভোট দিয়েছিল। শনিবার সেটির পরিধি আরো বাড়ানো হয়েছে।