ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা

Looks like you've blocked notifications!
ভিসার ওপর গতকাল রোববার পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক। ছবি : রয়টার্স

তুরস্কের আঙ্কারায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস গতকাল রোববার তুর্কি নাগরিকদের নন-ইমিগ্র্যান্ট (অভিবাসী নয় এমন) ভিসা প্রদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা দেওয়ার ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয় তুরস্ক।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহের বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মার্কিন কনস্যুলেটের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন তুরস্ক সরকার। দেশটির অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে গত বছরের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ‘পৃষ্ঠপোষকতা করা’ আলেম ফেতুল্লাহ গুলেনের যোগাযোগ রয়েছে। যদিও গুলেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে ‘চরম বিরক্তিকর’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র বলে, ‘এ রকম অভিযোগের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’ সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই আঙ্কারায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানায়,  তারা তুর্কি নাগরিকদের  কোনো ধরনের নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা  দেবে না।

পাল্টা জবাবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তুরস্কের দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের মিশন ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে যে চুক্তি রয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে সেটি পুনর্বিবেচনার জন্য আমরা বলে আসছিলাম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা না করে আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এমন সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলাম। পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে ধীরে ধীরে ই-ভিসা ও সীমান্ত ভিসার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।’

দেশ দুটির পাল্টাপাল্টি এমন নিষেধাজ্ঞার ফলে সংকটে পড়বেন নাগরিকরা। তাঁরা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য দুটি দেশে গমন করতে পারলেও পর্যটন, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, পড়াশোনা কিংবা অস্থায়ী কোনো কাজের জন্য যাতায়াত করতে পারবেন না।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আন্দালু জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে কর্মরত গ্রেপ্তার হওয়ার ওই ব্যক্তির নাম মেটিন তোপুজ। তিনি একজন তুরস্কের নাগরিক।

তুরস্কের অভিযোগ, তোপুজ যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছেন এবং তিনি দেশটির নিরাপত্তা বানচালের চেষ্টা করছেন।