মুগাবের নিয়োগ পুনর্বিবেচনা করছে ডব্লিউএইচও

Looks like you've blocked notifications!
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। পুরোনো ছবি

শুভেচ্ছাদূত হিসেবে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের নিয়োগের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নবনিযুক্ত প্রধান ড. টেডরোস আধানোম গেবরেয়েসোস।

মুগাবের নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ডব্লিউএইচওর প্রধান এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে গণস্বাস্থ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার জন্য জিম্বাবুয়ের প্রশংসা করেছিলেন টেডরোস। তবে সমালোচকদের মতে, মুগাবের ৩০ বছরের শাসনামলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে, বেতন সংকটে পড়েছেন কর্মীরা।

এমন বাস্তবতায় মুগাবের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইটারে একটি বার্তা লিখেন জিম্বাবুয়ের মানবাধিকার আইনজীবী ডগ কোলটার্ট। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, যিনি নিজ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন, তাঁকে কীভাবে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ দেয় ডব্লিউএইচও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরো অনেকে মুগাবের নিয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তাঁদের মতে, ৯৩ বছর বয়সী মুগাবে নিয়মিত বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে জিম্বাবুয়ের অপরাপর নাগরিকের চেয়ে নিজের আয়ু বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের সরকার মুগাবের এই নিয়োগকে ‘বিস্ময়কর ও হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছে। আর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিষয়টিকে এপ্রিল ফুলের কৌতুকের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মানবাধিকার ও মানুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখায় জাতিসংঘের যে নীতিগুলো রয়েছে, মুগাবের নিয়োগে তার প্রতি বিরুদ্ধাচরণ করা হয়েছে।