‘ক্যু’র পর প্রথম জনসম্মুখে মুগাবে

Looks like you've blocked notifications!
ফাইল ছবি

জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার দুদিন পর দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে জনসম্মুখে দেখা গেছে।  

আজ শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, রবার্ট মুগাবে দেশটির রাজধানীর হারারেতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।

৩৭ বছর ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধীন মুগাবেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসেন। তিনি এ সময় লাল কার্পেটের ওপর দিয়ে ধীরে ধীরে যাচ্ছিলেন। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানস্থল থেকে স্লোগান দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান থেকে জাতীয় সংগীতের স্বর ভেসে আসছিল। পরে তিনি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সমাবর্তনের পোশাক পরে তিনি বক্তব্য দেন।  

মুগাবের পর ক্ষমতাসীন জেডএএনইউ-পিএফ পার্টির নেতৃত্বে কে আসছে, তা নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যেই গত বুধবার জিম্বাবুয়ের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। তখন থেকেই গৃহবন্দি ৯৩ বছর বয়সী মুগাবে।

বিভিন্ন পক্ষের অব্যাহত আহ্বানের মধ্যেও তিন দশক ধরে জিম্বাবুয়ের ক্ষমতার শীর্ষে থাকা প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে শিগগিরই পদত্যাগ করছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে।

দোর্দণ্ড প্রতাপে আকস্মিক ছন্দপতনের পর আঞ্চলিক কিছু প্রতিনিধি ও সেনাপ্রধান জেনারেল কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মুগাবের। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

একসময়কার বিপ্লবী নেতা ও ১৯৮৭ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবের পদত্যাগ চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতা মরগান সভাঙ্গিরাই। তাঁর ভাষ্য, জনগণের স্বার্থেই মুগাবেকে দ্রুত সরে দাঁড়াতে হবে।

মুগাবের একচ্ছত্র আধিপত্যে থাকা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক সংকটের শুরুটা হয়েছিল গত সপ্তাহে। স্ত্রী গ্রেসকে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে আনা ও পরে প্রেসিডেন্ট করার পথ সুগম করতে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন ন্যাংগাগোয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। আর তাতেই চটে গিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী।