খাদ্যাভ্যাসের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে অস্ট্রেলীয়রা
অস্ট্রেলীয়দের বর্তমান খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ। দেশটির গবেষকদের পরীক্ষায় নিয়মিত খাবারে খাদ্যমান সীমিত বলেই প্রমাণিত হয়েছে। আর এর কারণ হিসেবে অস্ট্রেলীয়দের ‘জাঙ্কফুড’ প্রীতিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
খাদ্যমান কম কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান আছে- এমন খাবারই জাঙ্কফুড। সাধারণত ভাজা-পোঁড়া, চিনিসমৃদ্ধ খাবার, চকলেট ও ফাস্ট ফুডকে এমন খাবার হিসেবে ধরা হয়। জাঙ্কফুডে চিনি ও সম্পৃক্ত চর্বিও বেশি থাকে। একই ভাবে ক্ষতিকর মদ্যপান। খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিমান ১০০ ধরা হলে জাঙ্কফুড ও মদ্যপানের নম্বর হবে ৩৭। এমন খাবার কম বা একদমই না খাওয়ারই পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থা সিএসআইআরওর সমীক্ষাভিত্তিক গবেষণায় দেশটির মানুষের খাদ্যাভ্যাসের মান ‘সি’ (C) হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ১০০ নম্বরের মধ্যে এই খাদ্যাভ্যাস পেয়েছে ৬১। গবেষকরা অস্ট্রেলিয়ার ৪০ হাজার মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সমীক্ষা চালায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলীয়দের খাদ্যাভ্যাসে জাঙ্কফুডের পরিমাণ বেশি। দিনে একজনের সর্বোচ্চ যতটা জাঙ্কফুড গ্রহণ করা উচিত, অস্ট্রেলীয়দের খাদ্যাভ্যাসে থাকে এর তিনগুণ। আর গড়ে প্রত্যেক অস্ট্রেলীয় বছরে ৩২ কেজি চকলেট খায়। এর সবই স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ।
সিএসআইআরওর গবেষক ম্যানি নোয়াকেস বলেন, লিঙ্গ ও বয়স নির্বিশেষ গবেষণায় অংশগ্রহণকারী সবাইকেই সমানভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, খাদ্যাভ্যাসের যদি ফলাফল দেওয়া হয় তবে অস্ট্রেলিয়ার ফল ‘সি’ (C) ।
ম্যানি নোয়াকেস আরো বলেন, অস্ট্রেলীয়দের খাদ্যাভ্যাসে ইতিবাচক কিছু বিষয়ও আছে। যেমন, অনেকে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করেন ও বৈচিত্র্যময় খাবার খান। তবে খাদ্যাভ্যাসের অন্যান্য ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে।
গবেষকরা বলেন, অস্ট্রেলীয়দের খাবারের বড় অংশজুড়েই থাকে জাঙ্কফুড। এই খাবার এখন আর শুধু রুচির পরিবর্তনেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং জাঙ্কফুড পরিণত হয়েছে মূল খাবারে। প্রতিদিনই অস্ট্রেলীয়রা এমন খাবার গ্রহণ করছে।
গবেষকরা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে হলে জাঙ্কফুড বাদ দিতে হবে বা একদম কমিয়ে দিতে হবে। খাবারে গ্রহণে সচেতন হতে হবে অস্ট্রেলীয়দের।