সংকটে মালদ্বীপ, সেনাদের দখলে পার্লামেন্ট

Looks like you've blocked notifications!
মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ভবন। পুরোনো ছবি : এপি

গভীর সংকটে পড়ছে দ্বীপদেশ মালদ্বীপ। আদালতের রায় মানছে না সরকার। আর এতে প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পার্লামেন্ট ভবন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী।

এএফপিসহ একাধিক বার্তা সংস্থা জানিয়েছে আজ রোববার পার্লামেন্ট ভবন দখলে নেয় সেনাবাহিনী। বিরোধী দলের দুইজন সংসদ সদস্যকেও আটক করেছে সেনাবাহিনী।

গত বৃহস্পতিবার ৯ জন রাজনৈতিক নেতাকে একাধিক অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদও আছেন। তিনি বর্তমানে নির্বাসনে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তবে আদালতের ওই নির্দেশ মানতে নারাজ দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন।

‘সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি, তহবিল তছরুপ, রাষ্ট্রদ্রোহীতা’র অভিযোগে ওই ৯ নেতাকে অভিযুক্ত করে দেশটির সরকার।

অমান্য করায় প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের মুখে ফেলার উদ্যোগ নেন আদালত।

এরই প্রেক্ষিতে পার্লামেন্ট ভবনে অবস্থানসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনিল টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা সংক্রান্ত আদালতের কোনো রায় হবে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। এ কারণে আমি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে বলেছি অসাংবিধানিক কোনো আদেশ পালন না করার।’

মালদ্বীপের পার্লামেন্টের নাম পিপলস মজলিস। ৮৫ সদস্যের ওই পার্লামেন্টে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপ সংখ্যাগরিষ্ঠ। এরপরই আছে মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বাধীন মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি।

নাশিদের দল মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি আদালতের রায় মেনে নেওয়ার জন্য সরকারি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘ, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

মোহাম্মদ নাশিদ মালদ্বীপের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তবে ২০১২ সালেই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।