মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি

Looks like you've blocked notifications!
এমপিদের মুক্তি চেয়ে বিরোধী দলের বিক্ষোভ। ছবি : রয়টার্স

দ্বীপদেশ মালদ্বীপে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার। আজ সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন।

জরুরি জারির ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের বাড়তি ক্ষমতা পেল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সরকার এরই মধ্যে পার্লামেন্ট স্থগিত করেছে এবং প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে অভিসংশনে সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপ ঠেকাতে সেনাবাহিনীকে বলেছে।

সম্প্রতি আদালত পার্লামেন্টের নয় সদস্যককে (এমপি) মুক্তি আদেশ দেন, যার ফলে বিরোধী দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়ে।

আদালতের সিদ্ধান্তে আরো বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের বিচার অবৈধ।

সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তের সরকার পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করে। তিনি আদালতের আদেশ মানতে রাজি হয়েছিলেন।

সম্প্রতি বিরোধী দলের দুই এমপি মালদ্বীপে ফিরলে গেলে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় সরকার। 

বিরোধী দলের এমপি ইভা আবদুল্লাগ বলেন, জরুরি অবস্থা জারি অত্যন্ত হঠকারী পদক্ষেপ। সরকার জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আস্থা হারিয়েছে।

মালদ্বীপের পার্লামেন্টের নাম পিপলস মজলিস। ৮৫ সদস্যের ওই পার্লামেন্টে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপ সংখ্যাগরিষ্ঠ। এরপরই আছে মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বাধীন মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি।

মোহাম্মদ নাশিদ মালদ্বীপের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তবে ২০১২ সালেই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।