স্কুল ছুটি দিয়ে প্রেম, অধ্যক্ষ শ্রীঘরে!

Looks like you've blocked notifications!

প্রতিদিনের মতো সেদিনও নিজেদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসেছিল খুদে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছুটি দিয়ে দেন। আরো তিন ঘণ্টা পর ছুটি হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক শিশুদের সকাল ১০টার মধ্যেই পাঠিয়ে দিলেন বাড়ি।
 
ঘটনা হচ্ছে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন পাশেরই অন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। দুজনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক তাই ছুটি! ব্যাপারটি ঠিক এ রকম হলে শ্রীঘরে যেতে হতো না। দুই বিদ্যালয়ের দুই প্রধান একে অপরকে ভালোবাসেন, আর নিরবচ্ছিন্ন ভালোবাসা চালিয়ে যেতে ক্লাস চালিয়ে রাখার প্রয়োজন মনে করেননি প্রধান শিক্ষক। তাই স্কুল ছুটি। আর ব্যাগ গুছিয়ে বাচ্চাদের সোজা বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ। 

অসময়ে শিশুরা বাড়ি যাওয়াতেই হয়েছে বিপত্তি। কোনো কারণ ছাড়াই শিশুদের হঠাৎ ছুটিতে বেশ অবাক হন অভিভাবকরা। দলে দলে ওই বিদ্যালয়ে হাজির হয়ে দেখেন প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ। পরে বের করা হয় দুই বিদ্যালয়ের দুই প্রধানকে। ভালোবাসায় ব্যস্ত ছিলেন দুজন। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বিষয়টি থানা পর্যন্ত নিয়েছেন। আর শ্রীঘরে যেতে হয়েছে প্রেমিক যুগলকে। শুধু তাই? চাকরি চলে গিয়েছে দুজনেরই। 

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। জেলার চান্দপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় উভয়কে। দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলা করে এ ধরনের কাজ করায় দুজনের তিন মাসের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড বা উভয়ই হতে পারে। দুজনই গত মঙ্গলবার জামিনে আপাতত মুক্ত হয়েছেন শ্রীঘর থেকে।

পুলিশ কর্মকর্তা আর আর কাথেরিয়া বলেন, ‘গ্রামের বাসিন্দারা তাদের বিছানায় দেখেছে।’ ঘটনা শুনে পুলিশসহ বিদ্যালয়ে হাজির হন সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, গণশিক্ষা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা বেসিক শিক্ষা অধিকারী। 

বেসিক শিক্ষা অধিকারী রাজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘এ দুজনই গুরুতর অপরাধ করেছেন।’ তিনিই জানিয়েছেন এ অভিযোগে গত বুধবার উভয়ই চাকরিচ্যুত হয়েছেন। 

তবে দুই বিদ্যালয়ের দুই প্রধানই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রধান শিক্ষক বলেছেন, ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুরো ঘটনা বানোয়াট।’ এদিকে প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে ওই বিদ্যালয়ে এসেছিলেন।