ভারতের মণিপুরে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় চারজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। রাজ্য বিধানসভায় কয়েকটি বিল পাসকে কেন্দ্র করে সোমবার ও মঙ্গলবার রাজ্যের চুরাচান্দপুর জেলা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রতিবাদ চলার সময় ক্ষুব্ধ জনতা পাঁচ এমএলএসহ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।

মণিপুর টাইমস জানায়, মণিপুরের ৬০ সদস্যের বিধানসভায় একটি বিল পাসকে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভের শুরু। রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠনের অভিযোগ, বিল আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে। 

এই প্রতিবাদের মধ্যেই গত দুই মাসে মণিপুর বিধানসভায় তিনটি ইনার পারমিট বিল পাস হয়। তার মধ্যে আছে মণিপুর পিপলস বিল-২০১৫ ও মণিপুর ল্যান্ড রেভিনিউ অ্যান্ড রিফর্মস বিল-২০১৫। এর মধ্যে একটি বিলে আন্দোলন রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাৎক্ষণিক নির্দেশের কথা বলা হয়েছে। 

একটি বিল অনুযায়ী, ১৯৫১ সালের আগে মণিপুরে এসে যাঁরা বসবাস শুরু করেছিলেন, তাঁদেরই একমাত্র সেই রাজ্যের আদিবাসী হিসেবে গণ্য করা হবে। সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে কেবল তাঁদেরই। ১৯৫১ সালের পর যাঁরা এ রাজ্যে এসেছেন, তাঁদের বহিরাগত হিসেবে গণ্য করা হবে। তাঁদের সম্পত্তির অধিকারও থাকবে না। এমনকি তাঁদের রাজ্যও ছাড়তে হতে পারে।

কুকি ও নাগা আদিবাসী সংগঠনের অভিযোগ, বিলগুলো পাসের ফলে আদিবাসী সম্প্রদায় জমি ও সম্পদের ওপর অধিকার হারাবে।

কিন্তু রাজ্য সরকারের মুখপাত্র ও শিক্ষামন্ত্রী মৈরাংথেম ওকেন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, এসব বিল রাজ্যের আদিবাসীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।