বিয়ে করেও সন্তান নিতে পারবেন না সাবালক জাপানিরা!

Looks like you've blocked notifications!

জাপান সরকারের প্রণীত নতুন আইনে দেশটির নাগরিকরা প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারবেন ১৮ বছর বয়সে, এর আগে এই বয়স ছিল ২০ বছর। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক হলেই সন্তান ধারণ করতে পারবেন না তাঁরা। নতুন এই আইন কার্যকর হবে ২০২২ সালে। ১৮৭৬ সালের পরে এই প্রথম সাবালক হওয়ার বয়স পরিবর্তন করা হলো।

নতুন আইন অনুসারে জাপানের নাগরিকরা এখন বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে জাপানে ১৮ বছরের তরুণী এবং ১৬ বছরের কিশোরী শুধু তাঁদের মা-বাবার অনুমতিতেই বিয়ে করতে পারেন। অন্যথায় তাঁদের ২০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

কিন্তু সংশোধিত আইনে বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ১৮ বছর করা হয়েছে এবং এ বয়সে তাঁরা বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করতে পারবেন।

নতুন আইনে তাঁরা ক্রেডিট কার্ড ও বাবা-মায়ের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ঋণ নিতে পারবেন এবং তাঁরা যদি চান তাহলে ১০ বছর মেয়াদে পাসপোর্টও করে নিতে পারবেন। বর্তমানে বাবা-মায়ের অনুমতিক্রমে এই মেয়াদ পাঁচ বছরের।

এদিকে, জাপানে যারা লিঙ্গ পরিচয়ে ভুগছে, ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই তাঁরা কোন লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হতে চায় সেটি আইনানুগভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

১৮ বছরের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও এই বয়সে কোনো জাপানি অ্যালকোহল, ধূমপান, জুয়া এবং সন্তানধারণ করতে পারবেন না। সন্তান নেওয়ার জন্য তাঁদের ২০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু নতুন এই আইনের সমালোচনা করেছে অনেক সামাজিক সংগঠন।

একজন টুইটার ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘১৮ বছর বয়সে আমি প্রাপ্তবয়স্ক হলেও আমি অ্যালকোহল পান করতে পারব না বা জুয়া খেলতে পারব না? এর কোনো মানেই হয় না।’

জাপানে কয়েক দশক ধরে সাবালক হওয়ার আইনানুগ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিচার মন্ত্রণালয়ের আইন পরিষদ ২০০৯ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং প্রতিবেদনে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বয়স ১৮ বছরে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়।

ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরা বলছেন, সাবালক হওয়ার বয়স কমানোর ফলে সমাজে প্রবীণরা পুনরুজ্জীবিত হবেন এবং জন্মহার কমবে।

২০১৫ সালে সরকার ভোট দেওয়ার বয়স ২০ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ বছরে নামিয়ে আনে।