জাপানে মুষলধারে বৃষ্টি, ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৪৫

পশ্চিম ও মধ্য জাপানে মুষলধারায় বৃষ্টিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪৫ জন। ১৬ লাখেরও বেশি মানুষকে এসব এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে এ কথা জানিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে প্রকাশ।
এই দুর্যোগকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর পশ্চিম জাপানের প্রধান দ্বীপ হনশুর চারটি এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। এসব এলাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি, ভূমিধস ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্ব ও পশ্চিম জাপানের মাঝামাঝি অঞ্চলে আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও সেদিকে উষ্ণ বাতাস প্রবাহিত হবার ফলে ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
হিরোশিমার পশ্চিমের দূরবর্তী এক শহরে নদীর সেতু ভেঙে এক ব্যক্তির মৃতু হয়েছে বলে জানিয়েছে এনএইচকে। এ ছাড়া তাকাশিমা শহরের শিগা অঞ্চলে আগাছা পরিষ্কারের সময় ৭৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ খালের স্রোতে ভেসে গেছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভূমিধসের কারণে দালান চাপা পড়ে ‘কার্ডিও পালমোনারি অ্যারেস্ট’ হওয়া অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড় ধসে মারা গেছেন ৯৫ বছরের আরো এক বৃদ্ধা।
জাপান সরকারের মন্ত্রিসভার প্রধান সচিব ইয়োশিহিদে শুগা বলেছেন, দুর্যোগ আক্রান্ত এলাকাগুলোতে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের পুলিশ ও দমকল বাহিনীর অন্তত ৪৮ হাজার সদস্য কাজ করছেন।
অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ সকাল নাগাদ আরো বন্যা ও ভূমিধ্বসের আশঙ্কায় দুর্গত এলাকাগুলো থেকে ১৬ লাখেরও বেশি মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়ার জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাড়িঘর ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আরো ৩১ লাখ মানুষকে ।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় শিককু দ্বীপের মোতোয়ামা শহরে ৫৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
টোকিওভিত্তিক সংবাদ সংস্থা কিয়োদো জানিয়েছে, দক্ষিণের দ্বীপ কিউশুতে বেশ কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বীপের দক্ষিণাংশে এক্সপ্রেসওয়ের বিশাল অংশ ভূমিধ্বসের মাটি ও আবর্জনায় ঢাকা পড়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।