‘রাশিয়া কোনো দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি’

Looks like you've blocked notifications!
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সিএনএন

সব জল্পনা-কল্পনা ও বিরোধিতার অবসান ঘটিয়ে ফিনল্যান্ডের হেলসিনকির প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে একান্ত বৈঠক শেষ করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া কোনো দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।’

সোমবার ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিনকির প্রেসিডেন্ট ভবনে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুজনই নির্ধারিত সময়ের পরে বৈঠকস্থলে পৌঁছান। দেরিতে বৈঠক শুরু হলেও দোভাষীর সহায়তায় দীর্ঘ দুই ঘণ্টা একান্তে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেন পরাক্রমশালী দুই নেতা।

শুরুতে করমর্দন করেন তাঁরা; তবে তাঁদের ওই করমর্দন স্থায়ী ছিল মাত্র তিন সেকেন্ড। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, তিন সেকেন্ডের করমর্দনে দুই প্রেসিডেন্টকে চিন্তিত দেখায়। এমনকি তাঁদের মুখে হাসিও দেখা যায়নি। বৈঠকের শুরুতে সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর নিজ দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ করেন দুই দেশের প্রেসিডেন্ট। পরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই বৈঠককে ‘শুভ সূচনা’ বলে উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের তাগিদ দেন ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে কীভাবে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বিষয়ে বলতে চাই, রাশিয়া কোনো দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প দুদেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার প্রত্যয় জানান। কথা বলেন, মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়েও।

ট্রাম্প বলেন, ‘আজকের বৈঠকে জটিল অনেক বিষয়ে আলোচন হয়েছে। আশা করছি গঠনমূলক এ আলোচনা দুই দেশের সম্পর্ক, বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাবে। নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত আমাদের দুই দেশকে আলাদা করে রেখেছে।’

দুই ক্ষমতাশালী নেতার বৈঠকের প্রতিবাদে সোমবারও হেলসিনকির সিনেট স্কয়ারে বড় আকারের বিক্ষোভ করেছে দেশটির মানুষ। এ সময় তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন, বর্ণবাদ, ফ্যাসিবাদবিরোধী ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করে।