অর্থনৈতিক সংকট : আইএমএফের কাছে ঋণ চায় আর্জেন্টিনা

Looks like you've blocked notifications!
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মউরিসিও মাকরি। ছবি : রয়টার্স

ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রেসিডেন্ট মউরিসিও মাকরি বলেন, আর্জেন্টিনার অর্থনীতিতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আর্জেন্টিনার মুদ্রা পেসোর দাম চলতি বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। একইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিও বাড়ছে।

বুধবার আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্দ বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার এই নীতির উদ্যোগকে আমি জোরদার সমর্থন করছি এবং সরকারকে সহায়তার জন্য কর্মপরিকল্পনা সংশোধনে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, আর্জেন্টিনার সরকার যে ঋণ নিয়েছে তা পরিশোধ করতে হয়ত পারবে না এবং ঋণখেলাপি হয়ে যেতে পারে।

গত মাসে আইএমএফের শর্তে ঋণ নেওয়ার সম্মতি জানিয়ে মাকরি বলেন, এই উদ্যোগের ফলে অর্থনীতি চাঙা হয়ে উঠবে এবং এই ঋণের অর্থ ব্যবহার করতে হবে না।

বিনিয়োগীকারীদের আস্থা ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হলেও আর্জেন্টিনার পেসোর দাম পড়তির দিকেই। চলতি বছর তুরস্ক ও ব্রাজিলও তাদের মুদ্রার মূল্য কমে যাওয়া নিয়ে ভুগছে।

তবে আর্জেন্টিনার অবস্থা বিশেষ করে উদ্বেগজনক। দেশটি মূদ্রাস্ফীতি ঠেকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। আর সরকার অর্থনৈতিক সংস্কারও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। দেশটি আইএমএফের কাছে অঙ্গীকার করেছিল সরকারি ব্যয় ও ঋণ নেওয়ার হার কমিয়ে ফেলবে।

প্রেসিডেন্ট মাকরি অর্থনীতিতে চাঙাভাব ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

আর্জেন্টিনার জনগণের প্রতিদিনের খরচ বেড়ে গেছে। কারণ অনেক নিত্যপণ্য ও সেবার দাম বেড়ে গেছে। মুদ্রাস্ফীতি এবং সরকারি খরচ কমানোর অর্থ হলো বেতন সেই অনুপাতে বাড়ছে না। ফলে বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ছে।