পদের নাম ‘অফিস সহকারী’ প্রচলিত কথায় ‘পিয়ন’। আবেদনের যোগ্যতা- কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পাস। সঙ্গে জানতে হবে সাইকেল চালানো। সংবাদ সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের সচিবালয়ে ৩৬৮টি ‘অফিস সহকারী’ পদের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েছে ২৩ লাখ। আবেদন করেছেন করছেন পিএইচডি ডিগ্রিধারীসহ প্রকৌশলীরাও!

বিবিসির ওই প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, পিয়ন পদের জন্য লাখ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে ২৩ শতাংশ আবেদনকারী স্নাতকোত্তর। দশম শ্রেণিতে ৮৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাস করেছেন এমন আবেদনকারী আছেন অন্তত তিন হাজার। চলতি বছরের আগস্ট মাসে ১৬ হাজার রুপির মাসিক বেতনের এই চাকরিটির খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

এখন প্রশ্ন জাগতে পারে একটি পিয়নের চাকরিতে কী এমন লোভনীয় বস্তু রয়েছে যার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন এত মানুষ। বিবিসির কাছে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আবেদনকারীরাই।

আবেদনকারীদের একজন শচীন কুমার জানালেন, তিনি লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশনে পড়াশোনা করেছেন। তবু তিনি এ চাকরিটির জন্য মরিয়া। কারণ পাস করার পর কোনো চাকরি তিনি পাননি। আরেকটা কারণ, সচিবালয়ের কাজে রয়েছে অফুরন্ত ক্ষমতা, সেটা যতই নিচের দিকের কাজ হোক না কেন।

আরেকজন আবেদনকারী অলক চোরাশিয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী। কিন্তু এক বছর ধরে বেকার। তিনি বলেন, বাজারে যেখানে কোনো চাকরি নেই সেখানে এ চাকরির জন্য আবেদন করাতে কোনো সম্মানহানি হবে না। তবে যে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে মেলে এমন আবেদনপত্র পড়েছে ৫৩ হাজার ৪২৬টি।

এত আবেদনপত্র দেখে অভিভূত সচিবালয় প্রশাসনের একজন সচিব। তবে তিনি জানান, এত আবেদনকারীর পরীক্ষা নিয়ে প্রক্রিয়া শেষ করতে চার বছর সময় লেগে যাবে।