নেপালে তুষারঝড়ে অন্তত ৮ পর্বতারোহীর প্রাণহানি

Looks like you've blocked notifications!
নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে হিমালয়ের অন্যতম পর্বত গুর্জায় তুষারঝড়ে আক্রান্ত হয়ে অন্তত আট পর্বতারোহীর প্রাণহানি হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে হিমালয়ের একটি পর্বতে তুষারঝড়ে আক্রান্ত হয়ে অন্তত আট পর্বতারোহীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।

বিবিসি জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার পাঁচ পর্বতারোহী একটি দলের সঙ্গে চার নেপালি গাইড হিমালয়ের গুর্জা পর্বতে ক্যাম্পে অবস্থানকালে তুষারঝড়ের কবলে পড়েন।

ঘটনাস্থলে যাওয়া উদ্ধারকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ক্যাম্পে আট মরদেহ দেখার খবর নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি সেখানে থাকতে পারেনি। নিখোঁজ বাকিজনের ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তিনিও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পুলিশের মুখপাত্র শৈলেশ থাপা বিবিসিকে বলেন, ‘পাঁচ দক্ষিণ কোরীয় আরোহী ও তিন নেপালি গাইড নিহত হয়েছেন। আরেকজন নেপালি গাইড নিখোঁজ।’

নিহতদের মধ্যে অক্সিজেন ব্যবহার না করেই বিশ্বের ১৪টি পর্বত চূড়ায় ওঠা দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুতগামী পর্বতারোহী কিম চাং-হো একজন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়।

মাগদি জেলা কর্মকর্তা লীলাধর অধিকারী বলেন, ‘ক্যাম্পটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা গেলে দেখতে পাবে মরদেহগুলো ক্যাম্পের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।’ আবহাওয়া অনুকূলে এলে আগামীকাল রোববার আরেকটি উদ্ধারকারীদল সেখানে যাবে বলে জানান তিনি।

দলটির আয়োজক সংস্থা ট্র্যাকিং ক্যাম্প নেপালের কর্মকর্তা ওয়াংচু শেরপা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পর্বতারোহীদের সঙ্গে কোনো সংযোগ না ঘটায় তারা সতর্কতা জারি করে। গ্রামবাসী ও হেলিকপ্টারকে সে খবর জানানো হয়। 

আরোহী দলটি চলতি মাসের ৭ তারিখে ৭ হাজার ১৯৩ মিটার উচ্চতার (১১ হাজার ৪৮৩ ফুট) গুর্জা পর্বতের চূড়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। গতকাল নাগাদ তারা ৩,৫০০ মিটার উচ্চতায় ক্যাম্প স্থাপন করে। চূড়ায় ওঠার জন্য অনুকূল আবহাওয়ার অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় গতকাল তারা ঝড়ের কবলে পড়েন। 

গুর্জা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতগুলোর মধ্যে সপ্তম। ১৯৯৬ সালের পর কেউ গুর্জার চূড়ায় আরোহণ করেনি বলে হিমালয়সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়। পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত হিমালয়ের চূড়ায় আট হাজারের অধিক মানুষ এ যাবৎ আরোহণ করলেও গুর্জার চূড়ায় আরোহণ করেছেন মাত্র ৩০ জন।