মঙ্গলে পানি পাওয়ার পেছনে নেপালি রকস্টার!

Looks like you've blocked notifications!
পাঁচ বছর আগেই মঙ্গলে পানি থাকার বিষয়ে জোর দাবি তোলেন নেপালের রকস্টার ও মহাকাশ গবেষক লুজেন্দ্র ওঝা। ছবি : টেলিগ্রাফ ও নাসা

মঙ্গলে পানির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নিশ্চিয়তা এসেছে গতকাল সোমবার। কিন্তু পাঁচ বছর আগে ২০১১ সালেই নাসার ছবি বিশ্লেষণ করে মঙ্গলে পানি থাকার কথা জানিয়েছিলেন নেপালের রকস্টার ও মহাকাশ গবেষক লুজেন্দ্র ওঝা। এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও করেন তিনি। এক কথায় মঙ্গলে পানির সন্ধানের ক্ষেত্রে নাসার গবেষণায় বড় সহায়তা করেছে এই রক গায়কের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ!   

urgentPhoto

গতকাল নাসার ঘোষণার পর সংবাদমাধ্যমে লুজেন্দ্র ওঝার উল্লসিত বক্তব্য, ‘আমি সব সময়ই জানতাম মঙ্গলে পানি আছে। পানির স্রোতধারা। নাসার বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিশ্চিত করলেন, এ জন্য তাঁদের কুর্নিশ। এখন জীবন খুঁজে পাওয়ার গবেষণা।’

লুজেন্দ্র ওঝা মহাকাশ ও গ্রহবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। মঙ্গলে পানি থাকার প্রসঙ্গে তাঁর বিশ্লেষণ নাসার গবেষণা বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে ওঠে।

২০১১ সালে সহকর্মীদের নিয়ে মঙ্গলে পানি থাকার বিষয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ লেখেন লুজেন্দ্র ওঝা। মঙ্গলের ওপর দিয়ে উড়ে চলা নাসার মার্স রিকনয়েসেন্স অরবিটারের ছবি নিয়ে ওই গবেষণা করা হয়। ওই স্যাটেলাইটের ছবিতে মঙ্গলের দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি অংশে গভীর খাঁড়ি দেখা যায়। ২০১১ সালে টেলিগ্রাফের একটি সাক্ষাৎকারে লুজেন্দ্র ওঝা গ্রিষ্মে মঙ্গলে পানির ধারা বয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যাও দেন। আরটি টেলিভিশনেও এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ মত প্রকাশ করেন।

লুজেন্দ্র শুধু মহাকাশ ও গ্রহবিদ্যা নিয়েই পড়াশোনা করছেন না তিনি গোর্খা নামে একটি হেভিমেটাল ব্যান্ডের সদস্য। নেপালে জন্ম নেওয়া ওঝা মা-বাবার সঙ্গে ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সব সময়ই গান-বাজনার প্রতি টান ছিল ওঝার। তবে স্টিফেন হকিংয়ের ‘এ ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম’ পড়ার পর চিন্তা বদলে যায় তাঁর। সেই থেকে মহাকাশ ও গ্রহ নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন ওঝা। তবে ওঝার গানের যাত্রাও থেমে নেই। গানবাজনা ও মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা একই সঙ্গে চলছে লুজেন্দ্র ওঝার।