অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, চারজন আটক
অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম সিডনিতে কয়েকটি বাড়িতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার এই অভিযান চালানো হয়। সিডনি শহরে নিউসাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে গুলিবর্ষণ ও পুলিশের এক কর্মী নিহতের ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িত থাকতে পারে। আর ওই ঘটনার জন্য দায়ী কিশোর ফরহাদ খলিল মোহাম্মদ জাবেরকে (১৫) পশ্চিম সিডনির চরমপন্থীরা দলে ভিড়িয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এনএসডব্লিউ রাজ্যের পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে গত ২ অক্টোবর কিশোর ফরহাদ খলিল মোহাম্মদ জাবেরের (১৫) গুলিতে কার্টিস চেং (৫৮) নামের পুলিশের এক কর্মচারী নিহত হন। পরে পুলিশের গুলিতে ওই কিশোরও নিহত হয়।
আজ বুধবার গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য থেকে পুলিশ মনে করে, ফরহাদ খলিল মোহাম্মদ জাবেরকে পশ্চিম সিডনির চরমপন্থীরা দলে ভিড়িয়ে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করে। সরকার বাড়তি নজরদারি করছে এমন দাবিতে তাঁরা ক্ষুব্ধ ছিল।
পারাম্যাটা মসজিদের সিসিটিভি ফুটেজ এখন পুলিশের হাতে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে হামলার আগে ফরহাদ খলিল ওই মসজিদে যায় এবং কয়েকজনের সঙ্গে তার দেখা হয়। ওই ফুটেজ ও পুলিশের তদন্তের সূত্র ধরে পশ্চিম সিডনির কয়েকটি বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায় এবং চারজনকে আটক করে।
পুলিশের ধারণা, মসজিদে ফরহাদ খলিলের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। পুরনো মডেলের আগ্নেয়াস্ত্রটি নিজের ব্যাকপ্যাকে রেখেছিল সে। অগ্নেয়াস্ত্র পাচার করে ফরহাদ খলিলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সিডনির মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আজকের অভিযানে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ মেরিল্যান্ডের একটি বাড়ি থেকে তালাল আলামেদ্দিন নামে পরিচিত এক ব্যক্তিকে আটক করে। গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে ফরহাদ খলিলের হাতে তিনিই অস্ত্র দিয়েছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ মসজিদে জাবেরের সঙ্গে যাদের দেখা হয়েছিল তাদের মধ্যে তালাল ছিলেন না।
ফরহাদ খলিলকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে তার বোন শাদির হাত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। গত সপ্তাহে তিনি তুরস্কে চলে গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে তুরস্ক পুলিশকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে।