থাইল্যান্ডে ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ার অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি : সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে ‘ব্যাপক অনিয়মের’ অভিযোগ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

থাকসিন বলেছেন, ‘অনেক সংসদীয় আসনে মোট যে পরিমাণ মানুষ ভোট দিয়েছেন তার চেয়ে ব্যালট পেপার অনেক বেশি। পিপিআরপির (সেনা সমর্থিত ক্ষমতাসীন পালাং প্রাচা রাথ পার্টি) ভোট লাফ দিয়ে বেড়ে গেছে। তারা তৃতীয় অবস্থান থেকে প্রথম অবস্থানে চলে এসেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘অনেক স্থানে পিপিআরপি পরাজিত হওয়ার অবস্থা থেকে বিজয়ী হয়েছে।’

সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে এসব কথা বলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। গত রোববার থাইল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফলে সেনা সমর্থিত ক্ষমতাসীন প্রাচা রাথ পার্টি (পিপিআরপি) এগিয়ে আছে। এতে সামরিক জান্তাই আবার ক্ষমতায় থাকছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত।

২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পুয়ে থাই পার্টির ইংলাক সিনাওয়াত্রা। তিনি থাকসিনের বোন।  

তবে নির্বাচনের ঘোষিত ভোট ও ব্যালট পেপারের মধ্যে অসঙ্গতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ ধরনের অসঙ্গতিকে কিছু তথ্যগত ভুল বলে আখ্যায়িত করছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকারি ফল ঘোষণা হবে মে মাসে। এর ফলে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হচ্ছে।

ক্ষমতা হারিয়ে নির্বাসনে থাকলেও এখনো থাইল্যান্ডে ব্যাপক প্রভাবশালী রাজনীতিক থাকসিন সিনাওয়াত্রা বিবিসিকে বলেছেন, ‘নির্বাচনে প্রচুর অনিয়ম হয়েছে। এসব অনিয়মের মাধ্যমে দেশের রাজনীতি ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা দেখে আমি উদ্বিগ্ন।’

অনিয়মের বিষয়ে থাকসিন সিনাওয়াত্রা একটি উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেটচাবুন প্রদেশের দৃশ্যটাই দেখুন। সেখানকার ব্যালটবাক্স নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাতে স্থানীয় একটি অফিসে ব্যালট পেপার ভরা হয়।’

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক অভ্যুত্থানের পাঁচ বছর পরও সামরিক সরকার ও তাদের রক্ষণশীল সমর্থকরা থাই রাজনীতি থেকে থাকসিনকে সরানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁর নাম ও ছবির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।

থাকসিন সিনাওয়াত্রার অনেক সমর্থকের সন্দেহ নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে থাকসিন যে অভিযোগ করেছেন তারা সে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে থাইল্যান্ডের নির্বাচনে সব সময়ই কিছু নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। তবে থাকসিন যে অভিযোগ এনেছেন তাতে নির্বাচনের সার্বিক ফল পাল্টে যাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে দৃশ্যত তেমনটা মনে হচ্ছে না।