শরণার্থী সংকট

এবার ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল হাঙ্গেরি

Looks like you've blocked notifications!
কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করছে হাঙ্গেরির সেনারা। ছবি : রয়টার্স

শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে এবার ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল হাঙ্গেরি। এতে প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে যেতে শরণার্থীদের বড় ধরনের বাধায় পড়তে হতে পারে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, শরণার্থীরা যাতে গ্রিসে ঢুকতে না পারে সে জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী চেয়েছিল হাঙ্গেরি। কিন্তু এ বিষয়ে ইইউভুক্ত দেশগুলোর নেতারা গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। এর পরই হাঙ্গেরি তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিল। এর আগে তারা সার্বিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল।

এ বিষয়ে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার জিজার্তো বলেন, ‘এই পদক্ষেপ যে সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা তা নয়।’ তবে এই মুহূর্তে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়াকে দ্বিতীয় সর্বোত্তম ব্যবস্থা হিসেবে তিনি বর্ণনা করেছেন।

জিজার্তো আরো বলেন, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা হাঙ্গেরিতে দুই সীমান্তের ট্রানজিট জোনে  আশ্রয়ের জন্য  আবেদন করতে পারে।

এদিকে শরণার্থীদের প্রবেশে হাঙ্গেরিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের কড়াকড়ির কঠোর সমালোচনার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘জার্মানি প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার শরণার্থী নেওয়ার কথা বলেছিল। সে কারণে নোবেল পুরস্কারের জন্য তারা মনোনীত হয়েছিল। অথচ তুরস্ক ২৫ লাখ শরণার্থী আশ্রয় দিলেও সেটি নিয়ে কেউ কথা বলছে না। কারণ নোবেল পুরস্কারটিও রাজনৈতিক।’

এর আগে তুরস্ক জানিয়েছে, শরণার্থীদের বিষয়ে ইউরোপীয় নেতারা তুরস্কের সঙ্গে একটি যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য একমত হলেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তুরস্ক যদি বড় ভূমিকা নেয়, তাহলে তার বিনিময়ে দেশটিকে কিছু সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। এগুলোর মধ্যে আছে-শরণার্থীদের আশ্রয়ে সহায়তার জন্য তুরস্ক সরকারকে ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থিক সহায়তা দান, তুরস্কের নাগরিকদের জন্য ইউরোপের যেকোনো দেশে ভ্রমণ ভিসা সহজ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের অংশগ্রহণের আলোচনা জোরদার করা।