‘ধর্ষণের শিকার’ নারীকে নাউরুতে ফেরত পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া
নাউরুর আশ্রয়শিবিরে থাকা অবস্থায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এক সোমালি নারীকে অস্ট্রেলিয়া আনা হয়েছিল। দেশটির হাসপাতালে গর্ভপাত হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এর আগেই ওই নারীকে আবার নাউরুতে পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই ঘটনা নিয়ে সমালোচনায় পড়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার ২৩ বছর বয়স্ক সোমালি নারীকে কোনো গর্ভপাতের অপারেশন ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া থেকে নাউরুতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের দাবি, ওই নারী গর্ভপাত বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। তবে ওই নারীর পক্ষের আইনজীবীর দাবি, এই বিষয়ে আরো জানতে চাইছিলেন ওই নারী।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন নীতি অনুযায়ী, দেশটির অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শুরুতেই মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পাপুয়া নিউগিনির নাউরু ও ম্যানুস দ্বীপের অভিবাসন ক্যাম্পে। সেখানেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও অন্যান্য বিষয় সম্পন্ন হয়। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েক মাস থেকে আরো দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
রাজনৈতিক দল অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনের সিনেটর সারা হ্যানসন ইয়াং বলেন, এটি বিশ্বাস করতেই কষ্ট হয় যে অভিবাসনপ্রত্যাশী একজন নারীকে ধর্ষণ ও গর্ভবতী হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী পিটার ডাটন বলেন, অভিবাসনপ্রত্যাশী অনেকেই চিকিৎসাসেবার দাবি করে অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডে আসার চেষ্টা করছে। আর চলতি সপ্তাহেই অপর এক সোমালি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেও সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তিনি আরো জানান, প্রতিটি ধর্ষণের অভিযোগই তদন্ত করা হবে।
বিবিসির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, নাউরুতে গর্ভপাত নিষিদ্ধ, কারণ এক্ষেত্রে মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন যুক্তিতেও গর্ভপাত সম্ভব নয়।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের দাবি, মানবপাচারকারীদের দমন করতেই নাউরুতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রাখা হয়। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাউরুর অভিবাসন ক্যাম্পগুলোতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়।