আইএসের দায় স্বীকারকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত : যুক্তরাষ্ট্র
বিদেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কারা, তা খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর দায় স্বীকারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশে কোন মাত্রায় আইএস গোষ্ঠী তৎপরতা চালাচ্ছে বা চালাচ্ছে না, তা বলা কঠিন।
জন কারবি বলেন, ‘হামলার দায় স্বীকার করে আইএসের দাবির ব্যাপারটি আমরা লক্ষ করেছি। এসব হামলার জন্য দায়ীদের শনাক্ত ও তাদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও প্রধান অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি।’
এ পর্যায়ে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে তাদের (আইএস) উপস্থিতি কি গুরুতর কিছু? সত্যিই কি আইএস বাংলাদেশে আছে?
জন কারবি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোন মাত্রায় আইএস কাজ করছে বা করছে না, তা বলা কঠিন। আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলার মতো অবস্থায় নেই। তবে এ মুহূর্তে একটি তদন্ত চলছে, যদি প্রয়োজন হয়, এতে আমরা সহায়তা করতে পারি। বাংলাদেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো হামলার দায়ীদের ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারবে। এটা নিশ্চিত করা তাদের ব্যাপার। আইএসের দায় স্বীকারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়াই সমীচীন হবে, যা আমরা করে থাকি।’ তিনি বলেন, ‘তবে সত্যিকার অর্থে কারা এসব হামলার জন্য দায়ী, তার নির্দিষ্ট তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা বিষয়টি বাংলাদেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিচ্ছি, তারা তদন্ত করে একটা উপসংহারে আসুক।’
আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি বললেন যে, আইএস হামলা চালিয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে আপনারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন। আপনারা তুরস্কের সরকারের সঙ্গে আঙ্কারা বোমা হামলা নিয়ে কি কাজ করছেন?’
এর জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি বলেছি, যদি বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন হয়, সম্ভব হলে আমরা অবশ্যই সহায়তা করব। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এটা তদন্ত করছে—তুরস্কের সরকারও তাদের বিষয়টি (বোমা হামলা) তদন্ত করছে।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কের মাথায় দুর্বৃত্তরা ইতালির নাগরিক চেসারে তাভেলাকে গুলি করে। এর পর তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় রংপুর সদরের মাহীগঞ্জ এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে হোশি কুনিও নামের এক জাপানি নাগরিক নিহত হন।