ইরাকের প্রাচীন ভাস্কর্য ধ্বংস করেছে আইএস

Looks like you've blocked notifications!
ইরাকের মসুল শহরের জাদুঘরে থাকা প্রাচীন সব ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ভিডিওচিত্র থেকে নেওয়া ছবি।

ইরাকের মসুল শহরে একটি জাদুঘরে থাকা প্রাচীন সব ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এগুলোর কোনো কোনোটি তিন হাজার বছরের পুরোনো। সম্প্রতি সংগঠনটি ভাস্কর্য ভাঙচুরের একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে।

আইএস সম্পৃক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ধ্বংসের ভিডিওচিত্রটি দেখানো হয়। এতে আইএসের লোগো দেখা যায়। পাঁচ মিনিটের ভিডিওচিত্রে মসুলের জাদুঘরে রাখা কয়েকটি বড় আকৃতির ভাস্কর্য ভারী হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলতে দেখা যায়। খ্রিস্টপূর্ব নবম শতাব্দীর একটি আসিরীয় দেবতার ভাস্কর্য জঙ্গিরা ড্রিল মেশিন দিয়ে ধ্বংস করে।

ভিডিওচিত্রে আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত ডানাওয়ালা ষাঁড়ের ভাস্কর্যটির সামনে দাঁড়িয়ে এক আইএস জঙ্গি বলেন, কয়েক শতাব্দী আগে এখানে বসবাসকারীরা আল্লাহর বদলে এই মূর্তিকে দেবতা হিসেবে পূজা করত। এই জাতিকে জয় করার পর মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.) তাঁর অনুসারীদের সব মূর্তি ধ্বংস করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

জাদুঘরের কর্মকর্তারা কাতারভিত্তিক আলজাজিরা টেলিভিশনকে ভাস্কর্য ধ্বংসের কথা নিশ্চিত করেছেন। গত গ্রীষ্মে মসুল নিয়ন্ত্রণের পর থেকে এই জাদুঘর দখল করে রেখেছে আইএস জঙ্গিরা ।

বিশেষজ্ঞরা জানান, যে ভাস্কর্যগুলো ভাঙা হয়েছে, তার মধ্যে একটি অনুকরণে তৈরি। বাকিগুলো ইরাক ও বিভিন্ন প্রচীন শহর থেকে সংগৃহীত মূল ভাস্কর্য।

এ ঘটনায় জাতিসংঘের সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর প্রধান ইরিনা বকোভো নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ হামলা ইরাকে সাম্প্রদায়িকতা, চরমপন্থা এবং সংঘর্ষকে উসকে দেবে। এরই মধ্যে আইএস জঙ্গিরা শিয়া মুসলমানদের অনেক তীর্থস্থান ও মুসলিমদের পবিত্র স্থান ধ্বংস করেছে।